গীতালদহে ভাঙন রোধে সিঙ্গিমারি নদীতে বাঁধ দিতে কেন্দ্রকে প্রস্তাব
বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, দিনহাটা: দিনহাটা-১ ব্লকের সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার পরিবার। প্রতি বছরই নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে মানুষের বসতবাড়ি। নদীর পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিও নদীর গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ব্লকের ওকড়াবাড়ি ও গীতালদহ এলাকায় বিএসএফের একাধিক আউটপোস্ট রয়েছে। নদী ভাঙনের জেরে সেগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই এলাকার ভাঙন রুখতে ৩ কিমি ৩০০ মিটার বাঁধ দেওয়া প্রয়োজন। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই বাঁধ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব পাঠাল রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্রহ্মপুত্র রিভার বোর্ডের কাছে এই নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা পাঠিয়েছে রাজ্যের সেচদপ্তর। দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের বাঁধ নির্মাণ শুরুর জন্য দিল্লিতে তদ্বির করবেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।
কোচবিহার জেলা সেচদপ্তরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার বদরউদ্দিন শেখ বলেন, সিঙ্গিমারি নদীতে ৩ কিমি ৩০০ মিটার জায়গায় বাঁধ দেওয়া প্রয়োজন। ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে এই বাঁধ তৈরির প্রস্তাব ব্রহ্মপুত্র রিভার বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ বসুনিয়া বলেন, উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর উন্নয়নের দায়িত্ব কেন্দ্রের ব্রহ্মপুত্র রিভার বোর্ডের। সিঙ্গিমারি নদীতে ভাঙন রুখতে অবিলম্বে ৩ কিমি ৩০০ মিটার বাঁধের প্রয়োজন। রাজ্যের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজটি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমি তদ্বির করব।
দিনহাটা-১ ব্লকের পঞ্চাধ্বজি, দড়িবস, জারিধরলা এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ নদী ভাঙনের কারণে প্রতি বছর সমস্যায় পড়ে। কয়েকশ বিঘা কৃষিজমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গীতালদহের একটি বিএসএফ ক্যাম্প ভাঙনের জেরে বারবার সরাতে বাধ্য হয়েছে বিএসএফ। ওই এলাকার বাঁধ নির্মাণের জন্য বিএসএফের তরফ থেকেও সেচদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়। ৩ কিমি’র বেশি ওই বাঁধ তৈরি করতে ১২ কোটি টাকা প্রয়োজন। কোচবিহার জেলা থেকে একমাত্র এই প্রকল্পটি ব্রহ্মপুত্র রিভার বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সেচদপ্তর জানিয়েছে।