• হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা কেলাবাড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ছাদহীন অবস্থায় পড়ে দুটি ঘর। ১৭০ জন পড়ুয়ার জন্য দু’জন শিক্ষিকা। একটি মাত্র শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে চলছে চারটি ক্লাস।

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তুলসীহাটা কেলাবাড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল। স্কুলের শৌচালয়গুলিও ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য পানীয় জল, মিড ডে মিল রান্নার ঘর, শিক্ষিকাদের জন্য অফিস রুমও নেই।  শ্রেণিকক্ষের এক কোণেই করা হয়েছে অফিস। ব্লক নোডাল অফিসারকে একাধিকবার সমস্যার কথা জানালেও সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার সময় তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খরচ করে একটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়েছিল। ২০১০ সালে আরও দুটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হলেও ছাদ হয়নি। অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে থাকার ফলে বাধ্য হয়ে একটি  শ্রেণিকক্ষেই চালাতে হচ্ছে সমস্ত পড়ুয়ার ক্লাস। ছাদ না থাকার ফলে এখন বাকি দুটি কক্ষ ঝড়, বৃষ্টিতে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দেওয়াল থেকে ইট খুলে পড়ার সঙ্গে বিমের চাঙড় খসে যাচ্ছে। বেরিয়ে আসা লোহার রডে ধাক্কা লেগে পড়ুয়াদের বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। অনেকে আবার সন্তানদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যাও। অভিভাবকদের অভিযোগ, যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সায়েদা খাতুন বলেন, দু’জন শিক্ষিকা মিলে এতজন পড়ুয়াকে সামলাতে হয়। খাতায় কলমে ১৭০ জন পড়ুয়া থাকলেও ৩০-৪০ জন স্কুল আসে। ২০১০ সালে দুটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করার পর ১৪ বছর কেটে গেলেও ছাদ হয়নি। উপায় না থাকায় একটি শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। পড়াশোনাও ঠিকমতো করানো যায় না। 

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের নোডাল অফিসার হুমায়ূন কবির স্কুলটি পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ফান্ড না থাকায় কক্ষ দুটির কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলায় বিষয়টি জানিয়েছি।  স্কুলের একটি অংশ ভগ্নপ্রায়। একটি ঘরেই ক্লাস হয়।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)