• রাজ্য সড়কে সেতু নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ কৃষকদের
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: রাজ্য সড়কের উপর সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠল চাঁচলে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখানোর পর কাজ বন্ধ করে দিলেন এলাকার কৃষক সহ বাসিন্দারা। ঘটনাটি মালদহের চাঁচল-আশাপুর রাজ্য সড়কের কলিগ্রাম মহারাজ তলার।

    এদিনের ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে চাঁচল থানার পুলিস  পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে গেলেও কাজ শুরু করতে দিতে চাননি বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দাবি মানা না হলে কাজ করতে দেওয়া হবে না। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল-আশাপুর রুটে ১১ কিমি রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণে রাজ্য সরকার প্রায় ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। তার মধ্যে সেতু নির্মাণও আছে। সেই কাজ শুরু হয় চলতি বছরের মার্চে। কিন্তু ঢিমেতালে কাজ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন মানুষজন। তার মধ্যেই মরা মহানন্দার উপর কলিগ্রামে সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে না বলে দাবি বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, এলাকার তিনটি মৌজার প্রায় চারশো হেক্টর চাষের জমির জল বর্ষায় মরা মহানন্দা হয়ে মূল মহানন্দায় পড়ে। ব্রিজের প্রস্ত কম হওয়ায় সহজে জল বের হবে না। বিপুল ক্ষতি হবে কৃষকদের।

    বিক্ষোভকারী কৃষক ইন্তাজ হোসেনের কথায়, মাত্র দশ ফুট চওড়া হচ্ছে সেতু। কুড়ি ফুট চওড়া না করা হলে দ্রুত জল বের হবে না। ফলে বর্ষায় জমি জলমগ্ন হয়ে ফসলের ক্ষতি হবে। ঠিকাদারকে বলা হলেও গুরুত্ব দেননি।

    বিক্ষোভকারী তানবির আলম পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে দায়সারা কাজ করার অভিযোগ করছেন। তাঁর মন্তব্য, নিয়ম মেনে ঢালাই করা হয়নি। এই রুট দিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করে। অথচ সরু রড দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে। এই সেতু বেশিদিন টিকবে না।

    বাসিন্দাদের দাবি, ব্যস্ততম এই রাজ্য সড়কের একদিকে গার্ডওয়াল না করেই গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। এখন এক প্রান্তের সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিন ঘটনাস্থলে দিয়েছিলেন চাঁচল মহকুমা পূর্ত দপ্তরের (রোড) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কুষান শিকদার। নিম্নমানের কাজের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, বাসিন্দাদের বলেন, এভাবে কাজ বন্ধ করা ঠিক নয়। আপনারা লিখিত অভিযোগ জমা দিন দপ্তরে। 

    মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, ওই এলাকাটি কৃষিপ্রধান। কৃষকদের সমস্যার কথা পূর্ত দপ্তরে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)