• অর্ধেকেরও কম স্থায়ী কর্মী, দিন দিন কোচবিহার সমস্যা বাড়ছে পুরসভায়
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার পুরসভার রোজকার বিরাট কর্মযজ্ঞ সামলাতে যে পরিমাণ কর্মীর প্রয়োজন হয় তার অর্ধেক স্থায়ী কর্মীও বর্তমানে নেই। দীর্ঘদিন ধরেই পুরসভা এই সমস্যা ভুগছে। কোনও কর্মী অবসর নিলে দিনকে দিন এই সমস্যা আরও বাড়ছে। 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৪৪৩টি স্থায়ী পদ। এখন মাত্র ১৮৫ জন স্থায়ী কর্মী। বাকি পদ বহুদিন ধরেই ফাঁকা। ফলে অস্থায়ী কর্মীদের উপর ভরসা করেই বহু কাজ করতে হচ্ছে। পুরসভা জানিয়েছে, শূন্যপদে কর্মী চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, সমস্ত পুরসভার স্টাফ প্যাটার্ন নতুন করে করা হচ্ছে। সেই কারণে এই কাজে দেরি হচ্ছে। 

    এদিকে, কর্মী কম থাকার কারণে পুরসভার অফিস চালানো, কম্পিউটরের কাজ সহ একাধিক কাজে সমস্যা হচ্ছে। স্থায়ী ট্যাক্স কালেক্টর নেই। ইলেক্ট্রিশিয়ান একজন। কর্মী সংখ্যা এত কম হওয়ায় পুরসভা কার্যত বিপাকে পড়েছে। পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমাদের স্থায়ী কর্মী খুবই কম। এতে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি পুরদপ্তরকে জানিয়েছি। 

    মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলোক রায় বলেন, কর্মী কম থাকায় কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। পদগুলি পূরণ হলে পুরসভার কাজে গতি আসবে। 

    কোচবিহার পুরসভায় ২০টি ওয়ার্ড। প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তায় রয়েছে পথবাতি। এসব দেখভালের জন্য ইলেক্ট্রিশিয়ানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, বর্তমানে এই কাজে মাত্র একজন স্থায়ী কর্মী। ২০ জন অস্থায়ী কর্মী দিয়ে কাজ সামাল দিতে হচ্ছে। একসময় ২০ জন স্থায়ী ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। তাঁরা ধাপে ধাপে অবসর নেওয়ায় এখন একজনও নেই। এক্ষেত্রে গ্রুপ ডি স্টাফ দিয়ে কাজগুলি করাতে হচ্ছে। স্থায়ী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে একজন ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি অবসর নেন। গাড়ির চালক, মিউটেশন সেকশনের ক্লার্ক কম রয়েছে। কম্পিউটর সেকশনের কাজ চলছে ক্যাজুয়াল কর্মীদের দিয়ে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)