• অনুমতি না নিয়েই হেফাজতে থাকা কেজরিকে গ্রেপ্তার কেন, সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: ইডির দায়ের করা মামলায় জেল হেফাজতে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই অবস্থাতেই পৃথক মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তার জেরে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইকে কার্যত তুলোধোনা করে শীর্ষ আদালত বলল, ‘হেফাজতে থাকার সময়ই তাঁকে যখন আপনারা ফের গ্রেপ্তার করছেন, সেজন্য আদালতের অনুমতি দরকার হয়। ভুলে যাবেন না, ফৌজদারি প্রক্রিয়ার বিধিতে কিছু নিয়মকানুন আছে।’ 

    আবগারি দুর্নীতির ইস্যুতে ইডির দায়ের করা মামলায় গত ১২ জুলাই জামিন পেয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো। কিন্তু তার আগেই ২৬ জুন সিবিআই পৃথক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ফলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেলেই দিন কাটাতে হচ্ছে। সিবিআইয়ের সেই মামলাতে জামিন চেয়ে কেজরিওয়াল এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিন তারই শুনানি ছিল। সেই পর্বে ভরা এজলাসে সিবিআইয়ের মুণ্ডপাত করল শীর্ষ আদালত। তবে কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি সংক্রান্ত রায় এদিন স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।

    এদিনের শুনানিতে কেজরিওয়ালের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সিবিআইয়ের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে তাঁর কটাক্ষ, ‘আপনারা ‘ট্রিগার-হ্যাপি’ হতে পারেন না। কোনও রকম ভিত্তি ছাড়াই গ্রেপ্তারের জন্য এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। ইডির মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন পাওয়া যখন সময়ের অপেক্ষা, ঠিক সেই সময় সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ আসলে ‘গ্রেপ্তারির বিমা’। এটা তাঁকে জেলে ভরে রাখার নকশা। এই গ্রেপ্তারির কোনও যুক্তিসঙ্গত তথ্য-প্রমাণ নেই।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের জন্য সওয়াল করতে গিয়ে সিংভি আরও বলেন, ‘কেজরিওয়াল সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। তাঁর দেশ ছেড়ে পালানোর আশঙ্কা নেই। তিনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক নন, দাগী অপরাধীও নন।’

    সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এস ভি রাজু। তাঁর বক্তব্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারিতে কোনও রকম আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। এই মামলাটিকে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করছেন তিনি। আর সেই কারণেই কেজরিওয়াল জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অথচ, এজন্য তাঁর সর্বাগ্রে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)