• একাদশে ট্যাবের টাকা মিলবে যথাসময়ে, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর 
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাবলেট পিসি (ট্যাব) বা স্মার্টফোন কেনার ১০ হাজার টাকা যথাসময়েই পেয়ে যাবে ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে এই আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এদিন শিক্ষক দিবস ও কৃতী সংবর্ধনার সরকারি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তা অবশ্য আগেই বাতিল করে রাজ্য সরকার। এদিন শিক্ষামন্ত্রীও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন, ‘আর জি কর হাসপাতালের অনভিপ্রেত ঘটনার পরে সাড়ম্বরে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান করার পরিস্থিতি নেই। মুখমন্ত্রীও গোটা ঘটনায় খুবই ব্যথিত। তাই অনাড়ম্বরভাবেই বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান পালন করছি। সেরা ছাত্রছাত্রী ও বিদ্যালয়ের পুরস্কার, তরুণের স্বপ্ন, শিক্ষারত্ন কিছুদিন বাদে দেওয়া হবে।’ এ বছর ট্যাব দেওয়া হবে না বলে যে প্রচার চলছে, তারও প্রতিবাদ জানান তিনি।

    শিক্ষক দিবসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী—এবার থেকে স্রেফ ছ’মাস কম চাকরিজীবনের জন্য আর পেনশন থেকে বঞ্চিত হতে হবে না স্কুলশিক্ষকদের। চাকরিজীবন ৯ বছর ৬ মাস হলেই মিলবে পেনশন। এ নিয়ে আর আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ বছর চাকরি করলেই যে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা পেনশন পেতে পারেন। তবে, কারও চাকরিজীবন ছ’মাস কম হলেও স্কুলশিক্ষা দপ্তর নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁর পেনশনে ছাড়পত্র দিত। সাধারণভাবে অবশ্য তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তা করত না। হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতেই ছাড়া হতো পেনশন। কিন্তু এবার থেকে স্কুলশিক্ষা দপ্তর নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেই তা ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এর ফলে দেরিতে চাকরি পাওয়া বহু শিক্ষকই উপকৃত হবেন।

    এখানেই শেষ নয়, ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার নথি সংরক্ষিত রাখার ডিজি লকারের পরিষেবাও উন্নত করার কথা এদিন তুলে ধরেছেন ব্রাত্য বসু। এতদিন মার্কশিট বা অন্য কোনও নথিতে সংশোধন হলে তা ডিজি লকারের নথিতে প্রতিফলিত হতো না। এবার থেকে তা করা হবে। এছাড়া স্কুল এবং কলেজের শিক্ষকদের অভাব অভিযোগ শোনা এবং সমস্যার সমাধানের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে বিকাশ ভবনে। ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪ নম্বরটি সারা দিন, সারা বছর খোলা থাকবে। এখানে অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রাপ্তিসূচক বার্তা যাবে। অভিযোগের নিষ্পত্তির দায়িত্বে থাকবে একটি টিম। সমস্ত প্রক্রিয়াই ডিজিট্যালি নথিবদ্ধ রাখা হবে। এতে নথি হারানোর ভয় থাকবে না। গোটা প্রক্রিয়ায় বিকাশ ভবনে সশরীরে যেতেও হবে না অভিযোগকারীকে। অভিযোগের নিষ্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট এবং চূড়ান্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। সবশেষে ফিডব্যাকও দিতে পারবেন শিক্ষকরা। তার ভিত্তিতে গোটা প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)