• নিরাপত্তা বৈঠকের মাঝে দু’দল ডাক্তারের মধ্যে হাতাহাতি, জখম দু’জন, তীব্র উত্তেজনা
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক চলাকালীন বৃহস্পতিবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের দুই পক্ষের বিক্ষোভ ও হাতাহাতির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কলেজ অধ্যক্ষের ঘরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা শুরু হলে ঠেলাঠেলিতে দরজার কাচ ভেঙে যায়। শুরু হয় তীব্র বিশৃঙ্খলা। আন্দোলনরত দুই জুনিয়র চিকিৎসক জখম হন। অধ্যক্ষসহ বাকি অধ্যাপকরা অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে আটকে থাকেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসক বনাম বিতর্কিত চিকিৎসক নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা থেকে বড় পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেছে।

    আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের মতো সাগর দত্তেও আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার অফিস ছুটির পর জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের সুপার। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠক হচ্ছিল। নিরাপত্তাসহ নানান বিষয় আলোচনা হচ্ছিল। সেইসময় বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকরা পাল্টা জড়ো হন। তাঁরা জানতে চান, পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনে নানা ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কেন বৈঠক করা হবে? তাঁদের বক্তব্য, এতে কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁরা জোর করে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। ঠেলাঠেলিতে দরজার কাচ পর্যন্ত ভেঙে যায়। অভিযোগ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের অনুগামী হিসেবে কলেজ থেকে পাশ করে যাওয়া চিকিৎসক ও বহিরাগত চিকিৎসকরাও এসেছিলেন এদিন। রাত পর্যন্ত দুই পক্ষের স্লোগান চলে। 

    কলেজ অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, আমার ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষক দিবসে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আগে হইনি। মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। আমি লজ্জিত।

    অন্যদিকে, এদিন সকালে বকেয়ার দাবিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)