• আর জি কর কাণ্ডের জন্য গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই থমকে? জানতে চাইল হাইকোর্ট
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘আর জি কর কাণ্ডের জন্য কী গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে?’ বুধবার একটি মামলায় রাজ্যের যুক্তি শুনে এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। 

    ‘মাসকুলার ডায়স্ট্রফি’ নামক বিরল রোগ আক্রন্তরা যাতে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পান সেজন্য রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে একটি বৈঠক করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশটি দেওয়া হয় গত মে মাসে। আদালত বলেছিল, বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের জানাতে হবে। এদিন সেই বিষয়টি উল্লেখ করে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অভিযোগ করেন, আদালত নির্দেশ দিলেও রাজ্য এখনও বৈঠক করে উঠতে পারেনি। এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের আইনজীবীকে এরপরই প্রশ্ন করা হয়, কেন এখনও ওই বৈঠক করা যায়নি? তিনি বলেন, ‘আর জি করের ঘটনার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা ব্যস্ত। তাই বৈঠকের আয়োজন করা যায়নি।’ 

    এই বক্তব্য শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আর জি করের জন্য কী গোটা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাজ থমকে গিয়েছে?’ এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দিতে পারেনি সরকারি আইনজীবী। তারপরই বৈঠক আয়োজন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানিয়ে দেন, পরবর্তী শুনানির আগেই বৈঠকের আয়োজন না-করলে রাজ্যকে ভুগতে হবে। 

    এছাড়া এদিন এই মামলায় দুর্গাপুজোর অনুদান প্রসঙ্গও উঠে আসে। এই বিরল রোগে আক্রান্তরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন। অথচ অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই রোগে আক্রান্তরা মাসে ১৫ হাজার টাকা অনুদান পায়। আবার ওড়িশায় দেওয়া হয় এককালীন ১০ লক্ষ টাকা। এই বিষয়টি শোনার পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে-রাজ্যে পুজোর অনুদানের জন্য ক্লাবগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়, সেখানে এই বিরল রোগে আক্রান্তদের জন্য এই অনুদানের পরিমাণ দুর্ভাগ্যজনক!’ বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে বিবেচনারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

    অন্যদিকে, পুজোর অনুদান নিয়ে অন্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, পুজোর অনুদান বেড়েছে, কিন্তু খরচের বিষয়ে সঠিকভাবে অডিট হচ্ছে না। অর্থাৎ অনুদানের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, আদৌ পুজোয় খরচ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সেই মামলায় রাজ্যকে নোটিস দিতে বলেছে বেঞ্চ।
  • Link to this news (বর্তমান)