• রাজ্যে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আসন্ন উৎসবের মরশুমের প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, নির্মাণসামগ্রীসহ যাবতীয় উপকরণের জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, রাজ্যজুড়ে ১১-১৩ সেপ্টেম্বর টানা ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে বলেন, ছোট-বড়-মাঝারি ট্রাক চালকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। প্রশাসনের মদতে সরকারি নিয়ম মেনে চলা ট্রাকের চালক-খালাসির উপর রাস্তায় ধারাবাহিকভাবে অত্যাচার চলে। অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলার সর্বত্র মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। আইনি সংস্থান না-থাকলেও প্রতিদিন রাজ্য ও জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোটা টাকা ‘ঘুষ’ নেওয়ার মূল কাণ্ডারী হিসেবে এই সিভিকদের দায়ী করেছেন প্রবীরবাবু। তাঁর মূল অভিযোগ, ওভার লোড গাড়ি ‘বাড়তি টাকা’ দিয়ে পুলিসি প্রহরায় গোটা রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর আন্ডার লোড গাড়িগুলিকে একাধিকবার ওয়েব্রিজে (কাঁটা) ঢুকিয়ে ২৩৬ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রবীরবাবু। তাঁর দাবি, মাল লোডিংয়ের সময় স্থানীয় কাঁটায় তা ওজন করিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। এক্ষেত্রে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ পড়ে। অথচ সরকারি ওয়েব্রিজে ওজন করাতে ২৩৬ টাকা কেন দিতে হবে, প্রশ্ন ট্রাক মালিকদের। এক্ষেত্রে ২০০ টাকা ভাড়া। ৩৬ টাকা দিতে হয় জিএসটি খাতে।

    সূত্রের দাবি, ওয়েব্রিজ পরিচালনার বরাত থার্ড পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেদারে লুট চলছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তার ফলে রাজ্য সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। একইভাবে মোটর ভেহিকেল ইনসপেক্টর, বিএলএলআরও, পুলিসসহ একাধিক সরকারি দপ্তরের অফিসারদের একটি অংশ ফুলেফেঁপে উঠছেন। সব মিলিয়ে ওভার লোড নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে প্রশাসনে। এখন দেখার সরকারের তরফে ধর্মঘট ঠেকাতে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয় কি না।
  • Link to this news (বর্তমান)