• সবাই মিলে বললেই হবে না, কাউকে শুনতেও হবে, আন্দোলন প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা শিক্ষামন্ত্রীর
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘সবাই মিলে বলে গেলেই হবে না। কাউকে কাউকে শুনতেও হবে। প্রশাসনের অঙ্গ হিসেবে সেটাও আমার কাজ।’ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সময় মিছিলে হাঁটলেও, আর জি কর কাণ্ডের ঘটনায় কেন পথে নামছেন না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার ওই ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, আন্দোলনের মধ্যে থেকে একটা অংশ প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে। সেই আঙুলের লক্ষ্য হওয়া বা এড়িয়ে গিয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়া,কোনওটাই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় নয় বলে তিনি মনে করেন।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, সাধারণ ভাবে প্রতিবাদে সামিল হওয়া নিয়ে সেরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এই নিন্দনীয় ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ যাঁরা করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার স্বরও মিশে রয়েছে। তাঁদের পাশে রয়েছি। তবে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সময় আমার কোনও প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। ২০১১ সাল পরবর্তী সময়ে আমি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য। এই পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক অঙ্গণের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ জানাতে পারি। সেটা জানানোও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করেছেন, দোষীদের ফাঁসির দাবি করেছেন। আমরাও মিছিলে সামিল হয়েছি, ধর্নায় বসেছি। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় নিজের মতামতও জানিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, তবে, প্রশাসনেরও দায়িত্ব রয়েছে। বিল বা আইন এনে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবিধান করা, তারই অংশ। সবাই মিলে বললে হবে না। কিছু লোককে তা শুনতেও হবে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি শোনার মাধ্যমে প্রশাসনের অংশ হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করছি। আর জি কর কাণ্ডে বিভিন্ন মহল থেকে সরকারি পুরস্কার ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় ব্রাত্য বসুকে। তিনি বলেন, যাঁরা পুরস্কার ফেরাচ্ছেন, তাঁদের তা করার অধিকার রয়েছে। আবার সরকারেরও অধিকার রয়েছে পুরস্কার দেওয়ার। তবে যাঁরা পুরস্কার ফেরাচ্ছেন তাঁরা কি বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় পুরস্কারও ফেরাবেন?
  • Link to this news (বর্তমান)