গত ৩ এবং ৪ সেপ্টেম্বর মুম্বইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ই-গভর্নেন্সের ২৭ তম জাতীয় সম্মেলন। সেখানে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটকে 'শীর্ষ প্রযুক্তিগত সমাধানগুলির প্রতিলিপি' বিভাগে ই-গভর্নেন্স, ২০২৪ (স্বর্ণ) সালের বিচারে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। পুলিস স্টেশন ইনভেন্টরির (ই-মালখানা) সম্পত্তি রেজিস্টার ডিজিটালাইজড করার জন্য ,বারকোড ব্যবহার করার উদ্যোগের জন্য ভারত সরকারের প্রশাসনিক সংস্কার ও জন অভিযোগ বিভাগ দ্বারা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পদ্ধতিগত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্পটি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাতটি থানাতেই বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফল এই স্বীকৃতি।
একটা সময় ছিল যখন বাজেয়াপ্ত সামগ্রী মালখানায় পরে নষ্ট হত। তার কোনও খোঁজ মিলত না। তবে এবার বারকোডিং সিস্টেমের সুবাদে কেস নম্বর দিলেই বার কোড স্ক্য়ান করলে কোথায় কী মাল আছে তা সহজেই জানা যায়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও মামলায় কিছু না কিছু বাজেয়াপ্ত হয়। সে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে দামি জিনিস। এমনকী মাদক(গাঁজা)। সবই তোলা থাকে মালখানায়। মামলার প্রয়োজনে অনেক সময় আদালতে সেগুলো দেখাতে হয়। তাই বাজেয়াপ্ত জিনিস হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুলিসকে জবাবদিহি করতে হয়। এখন থেকে তা আর হবে না। যে কোনও বাজেয়াপ্ত জিনিস ভালো করে প্যাক করে, তার উপর বারকোড লাগানো হয়। যেটা থেকে সহজেই তার হদিশ পাওয়া যায়। আবার জিনিস যত্নেও থাকে। এই ব্যবস্থা গোটা দেশের মধ্যে চন্দননগর পুলিসের মত আর কেউ করতে পারেনি। তাই প্রথম পুরষ্কার।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, তাঁকে দু'জন পুলিশ আধিকারিক এই ডিজিটালাইজড মালখানা করতে সাহায্য করেছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের একটি টিম এসেও পর্যবেক্ষণ করে যান। আবার চন্দনগর পুলিসকেও দিল্লিতে গিয়েও ডেমনস্ট্রেশন দিতে হয়েছে। এসিপি শুভতোষ বিশ্বাস চন্দননগরে পুলিসের হয়ে এই পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন। গতবছর দেশের সেরা তিন থানার মধ্যে একটি হয়েছিল শ্রীরামপুর থানা এবার এল ই-গভর্নেন্সে সোনার পদক।