ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নাগের বাজার মোড়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে বচসা করছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলি কাউন্সিলর কেয়া দাস। কয়েকজনকে তিনি ধাক্কা দেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলের একদিকে পুরভবন। অন্য দিকে নাগের বাজার থানা। এমনকী কয়েকজন প্রতিবাদীকে তিনি পরে দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও এব্যাপারে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশও কোনও পদক্ষেপ করেনি।
বলে রাখি, গত বুধবার রাত দখলের কর্মসূচি চলাকালীন কোচবিহারের মাথাভাঙায় আক্রান্ত হন প্রতিবাদীরা। তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় মহিলা ও প্রবীণদেরও। আক্রান্ত হন শিল্পী ও নাট্য অভিনেতারা। এমনকী ঘটনার পর রাস্তায় আঁকা গ্রাফিতি চুন দিয়ে মুছে দেয় তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় গোটা রাজ্যে। অভিযোগ দায়ের হয় মাথাভাঙা থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ৩ জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩ জনই সক্রিয় তৃণমূলকর্মী বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির দাবি, গত ২৮ অগাস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ফোঁস’ করার পরামর্শ দেওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করেছেন নীচু তলার তৃণমূল নেতারা।