• '…পরীক্ষা নেবেন না', বোসের বার্তা মমতাকে, নির্যাতিতার পরিবারের চিঠি শাহের টেবিলে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর আবহের মাঝেও জারি রয়েছে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত। এই আবহে বৃহস্পতিবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, 'বাংলার জনগণের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।' রাজ্যপাল এদিন সরাসরি বলেন, 'রাজ্যে এর আগেই একটি আইন ছিল যেটি কার্যকর করা হচ্ছে না ঠিক ভাবে।' এদিকে পুলিশকেও তোপ দেগে রাজ্যপাল বলেন, 'পুলিশের একটা অংশের রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে এবং তারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন।'

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে রাজ্যপাল বলেন, 'যারা যারা ভুল করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শাস্তি দেওয়া উচিত। মানুষের মনে এই আশ্বাস থাকতে হবে যে তারা সরকারের থেকে সুবিচার পাবে। তবে আজকের দিনে বাংলায় সেই আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে আইন থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয় এই বাংলায়। পুলিশের একটা অংশ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, অপর অংশটির রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে।'

    এদিকে রাজ্যপাল বলেন, 'আমি নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তারা আমাকে যা যা বলেন, তা খুবই হৃদয় বিদারক ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সেই বৈঠকের বিষয়ে আমি জানিয়েছি। তারা আমাকে লিখিত আকারেও অনেক কিছু জানিয়েছেন। সেই বিষয়গুলি আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি। এবং এর দুই দিনের মধ্যে আমরা অ্যাকশন দেখতে পাচ্ছি। তাদের মনের মধ্যে দিয়ে যে কি যাচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পারছি। তারা তো শুধু বিচার চাইছেন। গোটা বাঙালি সমাজ বিচার চাইছে। এবং বিচার আসবে।'

    এদিকে রাজ্যপাল আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া উচিত না এই সরকারের। এই কারণেই এত মানুষ আজ সামে এসেছে। আমি নিশ্চিত, এই সাধারণ মানুষের কণ্ঠে ঈশ্বরের বাণী প্রতিফলিত হচ্ছে। মানুষ অ্যাকশন চায়, অজুহাত নয়। তাই আমার বার্তা, মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।' উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচি ঘিরে বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় মত্ত অবস্থায় কেকজন জমায়েতে ঢুকে পড়েন। আবার কোচবিহারে মাথাভাঙায় শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। বারাসতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে প্রতিবাদীদের মারধর করার। সেই ঘটনায় আবার ১৮ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল ধৃত আন্দোলনকারীদের বিরদ্ধে। তবে আদালতে সেই আন্দোলনকারীরা ছাড়া পেয়ে যান। এই সবের মাঝেই পুলিশ ও শাসকদলের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। এরই মাঝে সরাসরি রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)