স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকাল ৭টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ইডির দল হাজির হয় সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে। যদিও এই বাড়িতে এখন কেউ থাকে না। চার-পাঁচ বছর ধরে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে দোতলা ক্রিম রঙের বাড়িটি। মরচে পড়া সদর দরজার ভেতরে যেটুকু দেখা যাচ্ছে সেই উঠোনেও শ্যাওলা পড়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা কম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তার পরিবার বর্তমানে কলকাতায় থাকে। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগরের এই বাড়িতে তারা আসেন।
উল্লেখ্য, আরজি করে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে চিকিৎসক তরুণীর নৃশংস হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। বলা যায় আন্দোলনের চাপে পড়েই পদত্যাগ করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পরে তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করায় সেই কলেজেও বিক্ষোভ হয়। বিস্তর সমালোচনা হয়। চাপ বাড়তে থাকে সন্দীপ ঘোষের।
সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও আর জি কর কাণ্ডে নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই ঝাঁঝ বাড়ছিল আন্দোলনের। অবশেষে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আর এরপরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি কি ধরনের আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে আরজি করের মেডিকেল কলেজে তার তদন্তে জাল বিস্তার করে। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সাতসকালে বৈদ্যবাটির নার্সারি রোড শংকর পল্লীতে কুনাল রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে আসে ইডি।
সকাল থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি। কুণাল রায়ের বাড়ির নিচে কিছু মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রি ভাড়াটে থাকেন। তাদেরকেও বেরতে দেওয়া হয়নি আজ। কুণালের এক আত্মীয় সুবীর দাস জানান, তিনি ওষুধের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কিন্তু তার জামাইবাবু কলকাতার একটি প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কুণাল রায়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে আশায় তারা হতবাক । স্থানীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার সদ্ভাব রয়েছে । বাড়িতে তার স্ত্রী মেয়ে রয়েছে। সন্দীপের সঙ্গে কুণালের কোন যোগসূত্র আছে কিনা সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করেননি তার আত্মীয় বা প্রতিবেশীরা। এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তারা।