প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই মর্মে লালবাজারে গিয়ে ডেপুটেশনও জমা দিয়েছেন তাঁরা। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি ও ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করে যখন দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগে সিপি-র বিরুদ্ধে সরব আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। 'পুলিসি ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন সিপি। ১২ ও ১৪ তারিখের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন।' লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে জানায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। সিপি-র পদত্যাগ চেয়ে সিপি-র কাছেই দরবার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তাঁরা জানান, "সিপি-র পদত্যাগ চেয়ে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা সিপি-র কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। যার সিপি-র কাছে কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি। কিন্তু উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট বলে দাবি সিপি-র। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগেও রাজি সিপি। সিপি-র পদত্যাগের দাবিতে আমরা এখনও অনড়।" সোমবার ছিল লালবাজার অভিযান। কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট পথে নামে। প্রতিকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মিছিল রুখতে লাঠি-ঢাল, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে প্রস্তুত ছিল পুলিস। ফিয়ার্স লেনে দেখা যায় ৯ ফুটের উঁচু ব্যারিকেডও।
লালবাজার কার্যত দুর্গের রূপ নেয়। তবে লালবাজার পৌঁছানোর অনেক আগেই বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে মিছিল আটকে দেয় পুলিস। সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতভর জেগে টানা ২২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারিকেড খুলে দেয় পুলিস। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলকে লালবাজারে গিয়ে দেখা করার অনুমতি দেয় পুলিস। এরপরই জুনিয়র ডাক্তারদের ২২ জনের প্রতিনিধি দল লালবাজারে যায়। লালবাজারে সিপি-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক হয়।