আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমে শুক্রবার সকাল থেকে সন্দীপ ঘোষ, কৌশিক কোলে, বিপ্লব সিংহ, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। এবার সেই প্রসূনকে পাকড়াও করলেন তদন্তকারীরা।উল্লেখ্য, ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। অনেকেরই দাবি, নিজেকে সন্দীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে গিয়েছিলেন কয়েকজন ইডি আধিকারিক। এরপর দুপুর ২টো পর্যন্ত টানা তল্লাশি করা হয় তাঁর বাড়িতে। দুপুর ২টো নাগাদ তাঁকে পাকড়াও করে ইডি।
সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হন সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলায় তৎপর হয় ইডিও। প্রসূনের সঙ্গে সন্দীপের কী যোগসূত্র ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা, সূত্রের খবর এমনটাই।
প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতি থেকে শুরু করে পছন্দের সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন তিনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়াও নাড়েন আখতার আলি। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।