• সেদিন RG করের সেমিনার হলে থাকা 'সন্দীপ ঘনিষ্ঠ' ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বাড়িতে ED
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • গত ৯ অগস্ট আরজি করের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের ৪ তলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেদিনের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে বহু মানুষকে দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, 'ক্রাইম সিনে' বহিরাগতরা প্রবেশ করেছে। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছিল প্রসূন চট্টোপাধ্যায় বলে এক ব্যক্তিকে। পেশায় তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। অবশ্য সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি পরিচিত। সন্দীপের পিএ হিসেবে নাকি কাজ করেছেন তিনি। এহেন প্রসূনের বাড়িতেই আজ হানা দিল ইডি। তবে খুনের তদন্তে ইডি সেখানে যায়নি। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তেরপরি প্রেক্ষিতেই আজ প্রসূনের বাড়িতে অভিযান চলছে। পরে প্রসূনকে আটক করে গাড়িতে তোলে ইডি।

    এদিকে অভিযোগ করা হয়েছিল, গত ৯ অগস্ট ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাজিরা খাতায় সই করে আরজি করে চলে এসেছিলেন প্রসূন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হাজিরা খাতার ছবি

    জানা যায়, সন্দীপ যখন ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ পদে ছিলেন, তখন থেকেই প্রসূন তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। এরপর যখন সন্দীপ আরজি করের অধ্যক্ষ হন, তখন ন্যাশনাল মেডিক্যালের হাজিরা খাতায় সই করে আরজি করে চলে যেতেন প্রসূন। আর পরের দিন গিয়ে আগের দিনের 'লগ আউট' খাতায় সই করতেন তিনি।

    এদিকে শুধু ৯ তারিখ নয়, ১২ অগস্ট, যেদিন আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করলেন, সেদিনও নাকি ন্যাশনাল মেডিক্যালের হাজিরা খাতায় সই ছিল প্রসূনের। আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে যখন সন্দীপ পদত্যাগের কথা ঘোষণা করছেন, তখন পিছনেই নাকি দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রসূন। এদিকে গত ২৭ অগস্ট ভাইরাল হয়েছিল সেই সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিয়োটি। সেদিন ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূনের 'লগ ইন' সই থাকলেও, লগ আউট খাতায় সই ছিল না। আর তারপর থেকে হাজিরা খাতায় গত কয়েকদিনে প্রসূনের কোনও সই নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)