• বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, পরে মাথা থেঁতলে খুন, 'ধর্ষণের প্রমাণ নেই', বলল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের আবহে আরও এক ভয়াবহ ঘনটার সাক্ষী বাংলা। রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পরে নির্যাতিতার মাথা থেঁতলে দিয়ে খুন দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সেই মহিলা পরে মারা যান হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুরে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নদিয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি পূর্বপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার এক মহিলাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। শাঁশুড়ি মহিলাকে ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি চেঁচিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীকে ডেকে নিয়ে আসেন। কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে রওনা দেওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময়ই নাকি মহিলার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, কেউ বা কারা রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে মহিলার উপর অত্যাচার চালিয়েছে।

    নির্যাতিতা মহিলার শাশুড়ি দাবি করেন, তিনি বৌমার চিৎকার শুনে সেখানে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মেঝেতে পড়ে আছেন। এদিকে ঘরের সিঁদ কাটা। নির্যাতিতার কান থেকে রক্ত পড়ছিব। কাপর অবিন্যস্ত ছিল। এই ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি সরব হয়েছেন। এদিকে পুলিশের বক্তব্য, ওই মহিলার স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি রাতে বাড়িতে ছিলেন না। বধূকে একা পেয়ে কেউ বা কারা এই কাজ করেছে বলে পুলিশের অনুমান। প্রতিবেশী এক সন্দেহভাজন যুবকের নামে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে।

    পরে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকওয়ান বলেন, 'এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা চলছে। প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সবসময় তা সম্ভব হয় না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)