• ছাত্রীদের তুলসির মালা পরে আসা বারণ, অভিভাবকদের বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ এল স্কুলে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • স্কুলে ছাত্রীদের তুসলির মালা পরে আসতে বারণ করায় বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। ঘটনা মালদার গাজোলের। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, শুধু তুলসির মালা নয়, স্কুল ইউনিফর্মের বাইরে কোনও কিছুই স্কুলে পরে আসা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন ২ শিক্ষিকা। তুলসির মালাও তার মধ্যেই পড়ে।

    গাজোলের রানিগঞ্জ কৃষ্ণচন্দ্র হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন কী করে ব্যবহার করতে হবে কয়েকদিন আগে ছাত্রীদের তার প্রশিক্ষণ দেন ২ জন শিক্ষিকা। স্কুলের কম্পিউটার রুমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা। সঙ্গে রজঃস্রাব সংক্রান্ত পরিচ্ছন্নতা নিয়েও ছাত্রীদের সচেতন করেন তাঁরা। তখনই স্কুলে কোনও গয়না বা ধর্মীয় চিহ্নবাহক কোনও কিছু পরে আসা যাবে না বলে জানান তাঁরা। তুলসির মালা ও হিজ়াব পরে স্কুলে আসতেও বারণ করেন ওই শিক্ষিকারা।

    তুলসির মালা পরে আসতে কেন বারণ করা হয়েছে ছাত্রীদের, এই প্রশ্ন তুলে বুধবার স্কুলের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। বিক্ষোভের জেরে স্কুলের ভিতরে আটকে পড়েন শিক্ষক শিক্ষিকারা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে গয়না পরে আসায় নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে তাদের সমস্যা নেই, কিন্তু তুলসির মালা ইচ্ছা মতো খোলা - পরা করা যায় না। তাহলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করলে কি সে তুলসির মালা পরতে পারবে না? এটা তো সরাসরি তাঁর ধর্মপালনের অধিকারে হস্তক্ষেপ।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গাজোল থানার ওসি চন্দ্রশেখর ঘোষাল। অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন তিনি। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রধান শিক্ষক কাশীনাথ পাল জানিয়েছেন, ‘স্কুলে ইউনিফর্মের বাইরে কোনও কিছু পরে আসার নিয়ম নেই। সেকথাই ছাত্রীদের জানানো হয়েছিল। এর জেরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অভিভাকদের সঙ্গে কথা বলে তা মিটিয়ে নিয়েছি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)