১৪ দিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার বিকেলে আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়। বিকেল ৪টে ০৯ মিনিট থেকে শুরু হয় শুনানি। তখন আদালতকক্ষে হাজির ছিলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তিনি জানান, অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। পালটা বক্তব্য শোনার জন্য সিবিআইয়ের আইনজীবীকে সওয়াল করতে নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু কোথায় সিবিআইয়ের আইনজীবী? বেশ কিছুক্ষণ আদালত কক্ষে নিঃস্তব্ধতার পর উঠে দাঁড়ান এক মহিলা।
তাঁকে বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনি কি এই কেসের তদন্তকারী আধিকারিক? মহিলা জানান না, তিনি সহকারী তদন্তকারী আধিকারিক। একথা শুনে বিচারক বলেন আশ্চর্য ব্যাপার, এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক, সরকারি আইনজীবী কেউ উপস্থিত নেই? এর পর মহিলা আধিকারিককে বিচারক বলেন, আপনার আইনজীবী কোথায় খোঁজ করুন। ফোন করুন তাঁকে। এর পর আদালত কক্ষের বাইরে গিয়ে আইনজীবীকে ফোন করেন ওই মহিলা আধিকারিক। কিন্তু আইনজীবী ফোন ধরেননি। এর পর সিবিআইয়ের আধিকারিককে বিচারক বলেন, ১০ মিনিট সময় দিলাম। যেখান থেকে পারেন আইনজীবীকে ধরে নিয়ে আসুন।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড় তখন সিবিআইয়ের এই ধরণের অপেশাদারিত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিন শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় রায়ের জামিন খারিজ করে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।