• পুলিশ কেন অভিযোগ নেয়নি? মুর্শিদাবাদে ফার্মাসি পড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রশ্ন হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • মুর্শিদাবাদের বেসরকারি ফার্মাসি কলেজের হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। এই মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ। হাইকোর্ট বলেছে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে পদক্ষেপ করা হবে। ছাত্রের বাবার অভিযোগ কেন নেওয়া হয়নি? তা নিয়েও প্রশ্নের মধ্যে পড়তে হয় পুলিশকে।

    মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ওই কলেজের মৃত পড়ুয়া তহিদ করিমের বাবার অভিযোগ ছিল তিনি কলেজে গিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে মারা গিয়েছে। না গেলে হয়তো জানতেই পারতেন না। তার দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছিল বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তোলেন, যেহেতু কলেজের মধ্যেই ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তাই কোনওভাবে প্রতিষ্ঠান দায় এড়াতে পারেনা। কেন কলেজের তরফে এফআইআর করা হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। 

    উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। তাঁর আইনজীবীরা এদিন শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান। আগের শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে কেস ডায়েরি এবং রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। কিন্তু, না দিতে পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কীভাবে পুলিশ এগিয়েছে? তাও জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। এছাড়া ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ কে প্রথম দেখেছে কারা নামিয়েছে? তার বাবার অভিযোগ নেওয়া হয়নি কেন? পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে তাও জানতে চান বিচারপতি। 

    উল্লেখ্য, গত ১৩ অগস্ট থেকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না তহিদকে। পরের দিন তার বাবা কলেজে গিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে মৃত। তিনি এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। পরিবারের দাবি, পুলিশ এ নিয়ে কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি। উল্টে তাদেরকে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ না জানানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। 

    জঙ্গিপুরের জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট নামে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন করিম। বাড়ি মালদার যদুপুরে। পরিবারের অভিযোগ, করিমের চোখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এছাড়াও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারপরই রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মৃতের বাবা। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি করা হয়। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই অভিযোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও থানা ও কলেজ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি না জানানোর জন্য তাদের চাপ দেয় বলে তারা দাবি করেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)