এদিন ভাঙচুরের খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিসের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিসের এসিপি সুমন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনায় এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বাঁশকোপায় এই ইস্পাত কারখানায় স্থানীয়রা কাজের দাবিতে আগেও একাধিকবার আন্দোলন করেছিলেন। বৃহস্পতিবারও কারখানার সামনে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কারখানা তৈরির সময় তাঁরা জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে কাজের জন্য বারবার আবেদন করেও লাভ হচ্ছে না। ওইদিন পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৫২জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছিল। শুক্রবার ফের কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগ, সেসময় একদল লোক কারখানার ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, আমাদের এই জমিতে আগে চাষ হতো। কারখানায় কাজের সুযোগ পাবে বলেই গ্রামের লোকেরা জমি দান করেছিল। কিন্তু এখন কারখানায় কাজ দেওয়া হচ্ছে না। চাষের জমিও নেই। অপর এক বাসিন্দা বলেন, কারখানায় অনেক প্রোজেক্ট তৈরি হয়েছে। তাতে কাজ করার জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক আনা হচ্ছে। অথচ স্থানীয়দের কাজ দেওয়া হচ্ছে না।
এদিনের ঘটনার জেরে কারখানায় পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যায়। বারবার বিক্ষোভে কারখানার প্রোডাকশনে প্রভাব পড়ছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। বহু স্থানীয় মানুষ ওই কারখানায় কাজ করছেন বলেও তারা জানান।