খুনের ৯ দিনের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে নৃশংসভাবে তরুণী খুনের আসামীকে গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। অপরাধীকে ধরতে প্রথমে ৯ সদস্যের সিট গঠন করে জেলা পুলিস।পরে তা বেড়ে হয় ২১ জনের টিম । গত ২২ আগষ্ট পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থেকে অজয় টুডুকে গ্রেফতার হয়। ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সে গা ঢাকা দিয়ে ছিল বলে পুলিস জানায়। অজয়ের বাড়ি ডেবরায়।
অজয় ১৪ অগাস্ট রাতে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে দুজনার মধ্যে বচসার সময় প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে গলা কেটে খুন করে অজয়। মেয়েদের রাত দখলের সন্ধ্যায় ১৪ অগাস্ট পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে গলা কেটে খুন করা হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে বর্ধমান সহ আরও নানা জেলা। ঘন্টার পর ঘন্টা পথ অবরোধ হয়। এই ঘটনায় এগিয়ে আসে বিভিন্ন সংগঠন। তৃণমূল, বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন বিচার চেয়ে পথে নামে। মৃতের বাড়িতে আসেন বিজেপি নেতা জুয়েল মুর্মু, আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী নেতা দেবু টুডু।
এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের উপর আস্থা হারায় পরিবার। তারা জানান, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হবেন। শুক্রবার দুপুরে আদিবাসী তরুণীকে খুন করে কীভাবে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায় অজয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান থানা ও শক্তিগড় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ প্রচুর সংখ্যক পুলিশ । অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই ভিড় জমায় উৎসাহী মানুষজন। গাংপুরের স্টেশনের পাশে ব্যবসায়ী অভিজিৎ মিস্ত্রি জানান তাঁর দোকানে একটি টাউজারস কেনে অজয়।