ঘড়িতে তখন সাড়ে ৬টা। এদিন সাতসকালেই সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হাজির হন ইডি-র আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। বাড়িতে অবশ্য় তখন তালা ঝুলছে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এরপর ৯টা ১৮ মিনিটে বাড়িতে এসে তালা খোলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের স্ত্রী। প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে ধরে চলে তল্লাশি। ইডি সূত্রের খবর, বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে সোনা ও নগদ টাকা।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারির আগে বেলেঘাটার বাড়িতে এসেছিলেন সিবিআই আধিকারিকররাও। মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস। সাংবাদিকদর মুখোমুখি হয়ে সন্দীপের স্ত্রী বলেন, 'উনি তো সবরকমের সহযোগিতা করছেন। ওনারা (ইডি আধিকারিকরা) কী নিলেন, ওনাদের জিজ্ঞাসা করুন। উনি নির্দোষ, নিরাপরাধী, একথা আমি বলতে পারি। সেটা প্রমাণও হয়ে যাবে'।
আরজি কর কাণ্ডের পর এখন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন চিকিত্সকদেরই একাংশ। স্ত্রীর কথায়, 'যাঁরা বিরুদ্ধে বলছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরা খুশি হবেন জেনে এমন কিছু পাওয়া যায়নি'।
এদিকে আরজি কর দুর্নীতি মামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। অভিযোগ ছিল, তাঁর বক্তব্য না শুনেই আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অকারণে আরজি করে মহিলা চিকিত্সককে খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে দুর্নীতি মামলাটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যে মন্তব্য় করেছে, সেই মন্তব্যটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ আদালত। কবে? আজ, শুক্রবার।