কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিস, সেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতেই। এদিন শিয়ালদহ কোর্টে মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় সঞ্জয়কে। লিগ্যাল এইডের তরফে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানানো হয়।
বিচারপতি জানতে চান, 'সিবিআই পিপি(আইনজীবী) কোথায়'? মামলার সহকারী তদন্তকারী অফিসার জানান, 'আসেননি'। তদন্তকারী অফিসার? জবাব আসে, 'তিনিও আসেননি'। এরপর পিপিকে ডাকতে ফোন নিয়ে আদালত কক্ষের বাইরে যান সহকারী তদন্তকারী অফিসার। ফিরে এসে জানান, 'পিপি রাস্তায়'। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি।
শেষপর্যন্ত সিবিআইয়ের লিগ্যাল সেলের এক প্রতিনিধি পৌঁছন আদালতে। সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা গণধর্ষিত নন। CFSL বিশেষজ্ঞরা ডিএনএর বিভিন্ন প্রোফাইলিং করেছেন। সূত্রের খবর, মিলে গিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ। সূত্রের আরও খবর, সিবিআই ১০০ টিরও বেশি বিবৃতি রেকর্ড করেছে এবং ১০ টি পলিগ্রাফ পরীক্ষা করেছে, যার মধ্যে হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান ডাঃ সন্দীপ ঘোষও রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই যে ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে একের বেশি কেউ জড়িত ছিল।