দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কলকাতা ও তার আশেপাশে স্থায়ী বসতি। এছাড়া সুদূর ক্যানিংয়ের বিশাল জায়গা কিনে বিলাসবহুল বাংলো তৈরি করেছিলেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ(Sandip Ghosh)। হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে ক্যানিং ২ নং ব্লকের সেই ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। বৃহস্পতিবার সেই বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’। আর পরেরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সন্দীপের সেই বাংলো বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি। তাঁর আপ্ত সহায়ক বলে নিজেকে পরিচয় দেওয়া প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সেই বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এই ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’র চাবি নাকি থাকত প্রসূনের কাছেই।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজাতে প্রায় ১০০ বিঘা জমি কিনেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি। স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক সেখানে ফার্ম হাউস তৈরি করেছেন। কিন্তু পুরোটাই চলতো সন্দীপ ঘোষের নির্দেশ মতোই। জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে এই বাংলো বাড়িটি তৈরি হয়। তারও আগে জমি কেনা হয়েছিল। ভিতরে সুইমিং পুল, বিশাল লন রয়েছে। এই বাংলোয় মাঝেমধ্যেই আসতেন সন্দীপ। তবে সম্প্রতি দীর্ঘদিন সেখানে যাননি তিনি। এমনই জানিয়েছেন বাড়ির কেয়ারটেকার।
বৃহস্পতিবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ এই বাড়ির খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসার পর শুক্রবার সকাল থেকে ইডির নজরে সেই ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। এদিন সকালে সন্দীপের আপ্ত সহায়ক বলে পরিচয় দেওয়া প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের সুভাষগ্রামের বাড়িতে যায় ইডির একটি দল। সেখানে কয়েকঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রসূনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ক্যানিংয়ের ওই বাংলো বাড়ির চাবি রয়েছে তাঁর কাছেই। এর পরই প্রসূনকে নিয়ে ক্যানিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
বিকেলে সেখানে পৌঁছয় ৮ জনের তদন্তকারী দল। বাংলো বাড়ির ৫০০-৬০০ মিটার দূর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন আধিকারিকরা।