• দুর্গাপুজোর সময়ও কাজ করার নির্দেশ দিলেন শুভেন্দু, আরজি কর নিয়ে ঢালাও কর্মসূচি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে দুর্গাপুজোর সময় বিজেপি নেতা–কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দুর্গাপুজোর একমাস আগেই দলের কর্মীদের সেই কর্তব্য জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল–সহ তিন পদস্থ পুলিশকর্তাকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এদিকে আজ শুক্রবার প্রথমবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ‌। তার মধ্যেই রাজভবনের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাজিতা বিল রাষ্ট্রপতিকে পাঠানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এই আবহে আজ, শুক্রবার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা জানান, দুর্গাপুজোর মণ্ডপের বাইরে কর্তব্যরত বিজেপি নেতা–কর্মীদের কাজ হবে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে সই সংগ্রহ করা। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিজেপির নেতা–কর্মীদের আরও একটি দায়িত্ব দিয়েছেন শুভেন্দু।

    এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। শুভেন্দু বলেন, ‘‌দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ—এই দাবিতে আন্দোলন চলবে। একই সঙ্গে এবার আমরা চাই, ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং বর্বর সিপি বিনীত গোয়েলকে হেফাজত নিয়ে জেরা করুক সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত মন্তব্য নারীবিরোধী। আর তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুলতে দেওয়া চলবে না। দুর্গাপুজোর সময় ওই সমস্ত মন্তব্যের রেকর্ডিং বাজবে।’‌

    এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে কাকলি ঘোষদস্তিদার, উদয়ন গুহ, কাঞ্চন মল্লিক–সহ একাধিক নেতা–নেত্রী আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় আন্দোলন করা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সেগুলিই দুর্গাপুজোয় শোনাতে চান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‌ধর্মতলায় ধরনা শেষ হলেও গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিজেপির নেতা–কর্মীরা প্রত্যেকটি বাজার, স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে পথসভা করবেন। নানা কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাবেন।’‌ আর পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‌তৃণমূল গান পয়েন্টে রেখে পুলিশের সপক্ষে বলতে বাধ্য করেছিল মৃত চিকিৎসকের বাবা–মাকে। তখনও হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। পুলিশ বলেছিল, এটা বললে তদন্তে স্বচ্ছতা ও গতি দুটোই আসবে। আসলে সব মিথ্যে বলেছিল।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)