• ‘‌সব অভিযোগই মিথ্যে, কোনও দুর্নীতি করেননি সন্দীপ’‌, ইডির সামনে গর্জে ওঠেন স্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এখন সিবিআই সন্দীপের নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে। এই আবহে স্বামীর হয়ে ব্যাট ধরলেন স্ত্রী। কারণ সন্দীপের বাড়িতে আগে এসেছিল সিবিআই। আর এবার এল ইডি।

    এদিকে আজ শুক্রবার প্রথমবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ‌। আর তখনই সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী গর্জে উঠলেন, ‘‌না না, ও কিচ্ছু করেনি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। যতরকম তদন্ত হয়েছে সবেতেই সহযোগিতা করা হয়েছে।’‌ আজ সাতসকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে যান ইডি অফিসাররা। ওই বাড়িতে তখন তালা দেওয়া ছিল। সেটা ভাঙার প্রস্তুতি নিতেই সেখানে হাজির হন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। আর তালা খুলে দেন। তখনই এই কথাগুলি বলেন তিনি।

    এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে তারপরই সিবিআই তাঁকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে। আর আজ ইডি অফিসাররা এলে সন্দীপ পত্নী দাবি করেন, ‘‌এখনও সন্দীপের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। আগামীদিনেও কোনও কাগজ পাবে না। কারণ উনি কোনও দুর্নীতি করেননি। সব অভিযোগই মিথ্যে, কোনও দুর্নীতি করেননি সন্দীপ।’‌ এই কথাগুলি ইডি অফিসারদের শুনিয়ে সাংবাদিকদের বলা হয়। সুতরাং একটা টেনশন যে কাজ করছিল সেটা বোঝাই গেল।

    সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইডি তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার আখতার আলি। তবে তদন্তভার সিটের থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির মতো আরজি কর হাসপাতালেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। যাতে অনেক প্রভাবশালীর যোগ থাকতে পারে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)