• শিল্পাঞ্চল থেকে শস্যগোলা মজেছে সিদ্ধিদাতার উপাসনায়, মিষ্টির দোকানে লাড্ডু কেনার ভিড়
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান এবং আসানসোল: আজ, শনিবার গণেশ চতুর্থী। সিদ্ধিদাতার উপাসনায় মাতোয়ারা শিল্পাঞ্চল। উৎসবের রেশ ছড়িয়েছে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানেও। বাজেপ্রতাপপুর, নীলপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কালনা, কাটোয়া, মেমারি এবং জামালপুরেও ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে। মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা প্রিয় বাঙালির ভিড় লাড্ডু, মোদক কেনার। পেটুক গণেশ ঠাকুরকে খুশি করতে দেদার বিক্রি হল পাঁচশো, হাজার টাকা দামের লাড্ডু ও মোদক। শুক্রবার সকালে মৃৎশিল্পীরা বড় গণেশ ঠাকুরের মূর্তিতে শেষ মুহূর্তের টাচ দিতে দেখা গেল। বিকেল হতেই বড় বড় ভুঁড়িওয়ালা গণেশ ঠাকুর রওনা দিলেন মণ্ডপের উদ্দেশে। শারদীয়া উৎসবে মাতার আগে ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ বলতে মুখিয়ে রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। 

    আসানসোলের মিষ্টি ব্যবসায়ী গৌতম বন্দোপাধ্যায় কারিগরদের নিয়ে এবার ছ’রকমের মোদক প্রস্তুত করিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে কেশরের মোদক, নারকেলের মোদক, চকোলেট মোদক, ক্ষীরের মোদক। পরীক্ষা করেছিলেন এবার। দেখতে চেয়েছিলেন রসগোল্লা কালাকাঁদ প্রিয় বাঙালি ভিন্ন স্বাদের মোদক কতটা উৎসাহ নিয়ে গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী চমকে উঠেছেন, শুক্রবার বিকেল পড়ার আগেই মোদকশূন্য দোকানের শোকেস। সরস্বতী পুজোর মতো যেন আসানসোলের বাড়িতে বাড়িতে গণেশ পুজো হচ্ছে। মা দুর্গার সন্তানকে খুশি করতে মোদক কিনতে কার্পণ্য করেনি বাঙালি। একই অভিজ্ঞতা বার্নপুর ও কুলটির মিষ্টি বিক্রেতাদেরও। গণেশ ঠাকুরের লাড্ডু প্রীতি কারও অজানা নয়। বাজার ধরতে মিষ্টি বিক্রেতারা ছোট লাড্ডুর পাশাপাশি ৫০০ থেকে  তিন কেজি, এমনকী পাঁচ কেজির লাড্ডু বানিয়েছেন। বড় পুজো উদ্যোক্তা থেকে বাড়িতে গণেশ পুজোর আয়োজন করা গৃহস্থ লাড্ডু লুফে নিয়েছে। 

    দুর্গাপুরের মিষ্টি বিক্রেতা মলয় সাহা বলেন, বিজয়া দশমী ভাইফোঁটার মিষ্টি বিক্রির মতো এবার গণেশ চতুর্থীতে লাড্ডু ও মোদক বিক্রি হয়েছে। ৫০০ গ্রামের লাড্ডুর দাম ১৭৫ টাকা। তিন কেজি লাড্ডুর দাম হাজার টাকার বেশি রেখেছিলাম। এতটা বিক্রি হবে আশা করিনি। 

    মিষ্টির দোকানগুলির প্রবল উৎসাহের চিত্রর পাশাপাশি বড় পুজো মণ্ডপগুলিতেও মানুষের উৎসাহ ধরা পড়েছে। আসানসোল বাজার, বার্নপুর স্টেশন, বার্নপুর বাজার, দুর্গাপুর স্টেশন, বেনাচিতি সর্বত্রই বড় গণেশ মূর্তির পুজো হচ্ছে। গণেশ পুজো হয়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চলের প্রাক শারদীয়া উৎসব। সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। সেখানে অধিষ্ঠান করছে বড় বড় গণেশ প্রতিমা।

     মৃৎশিল্পীঅভিজিৎ রুদ্র পাল বলেন, নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিপাতে খুবই চিন্তায় পড়েছিলাম। অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার গণেশ মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে। বেশি অর্ডার ধরেছিলাম শেষ পর্যন্ত সবার হাতে ফুর্তি তুলে দিতে পেরে স্বস্তি পেলাম।

    ছোট প্রতিমা প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়েছে, আসানসোল দুর্গাপুরের বাজারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠিত মন্দির গুলিতে ও গণেশ চতুর্থ উপলক্ষে গণেশ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি কালীবাড়িতে শনিবার বিশেষ পুজোর হবে। বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হচ্ছে বলে মন্দিরের প্রধান সেবাইত সাধন রায় বলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)