• শিলিগুড়িতে বিজেপির অবরোধে আটকাল অ্যাম্বুলেন্স, যানজটে ক্ষোভ পথচারীদের
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বিজেপির অবরোধে আটকে পড়ল অ্যাম্বুলেন্স। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি শিলিগুড়ি শহরের মহাত্মা গান্ধী মোড়ে। এনিয়ে বিভিন্ন মহল রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তারা আন্দোলনকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিজেপি অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, আর জি কর কাণ্ডের জেরে দিশাহারা হয়ে তৃণমূল আবল-তাবল অভিযোগ তুলছে। দু’পক্ষের এমন বক্তব্য ঘিরে শহরের রাজনীতি সরগরম। 

    আর জি কর ইস্যুতে এদিন বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ পথ অবরোধ করেন পদ্ম শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ স্থলের দু’পাশে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। আটকে পড়ে রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্সও। দার্জিলিং মোড়ের দিক থেকে আসা একাধিক অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়। ঘন ঘন হুটার বাজিয়েও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সুবিধা করতে পারেননি। পথচারীরা এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের একাংশ বলেন, অসহ্য গরমের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস দাঁড়িয়ে থাকলেও অবরোধকারীদের ভ্রুক্ষেপ ছিল না। এটা অমানবকি ঘটনা।

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল অবশ্য বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ার ঘটনা জানা নেই। আমি দার্জিলিং মোড়ে পথ অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আটকে পড়া স্কুলবাস বের করে দিয়েছি। মহাত্মা গান্ধী মোড়ে দলের কার্যকর্তারা একই পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। 

    দুপুরে শিলিগুড়ি শহর ও গ্রাম মিলিয়ে মোট ২৩ জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। শহরের দার্জিলিং মোড়, সফদর হাসমিকচক, জলপাইমোড়, চম্পাসারিতে বিজেপির অবরোধে ব্যাপক যানজট হয়। এনিয়ে যানবাহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। তাঁদের বক্তব্য, অসহ্য গরমের মধ্যে পথ অবরোধের জেরে আটকে থাকতে হয়েছে। পথচারীদের পাশাপাশি এনিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। দলের দার্জিলিং জেলার মুখপাত্র (সমতল) বেদব্রত দত্ত বলেন, মানুষের ভোটে বিজেপি হেরে গিয়েছে। এখন আর জি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অবরোধের নাম করে এদিন আমজনতাকে হয়রান করেছে। ওরা ঘুরপথে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। ওরা আসলে আর জি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের জন্য বিচার চাইছে না। 

    বিজেপির জেলা সভাপতি পাল্টা বলেন, আর জি কর কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে  চলা এই আন্দোলনকে ওরা যদি বিশৃঙ্খলা মনে করে, তা হলে তা বিশৃঙ্খলা। ২০১১ সালের আগে এ ধরনের বহু আন্দোলন করেছে ওরা। এখন বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় আবলতাবল বকছে।
  • Link to this news (বর্তমান)