• উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল: হুমকি ফোনের অভিযোগ আন্দোলনকারীদের
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে টিএমসিপি’র তিন চিকিৎসক নেতা সাহিন সরকার, সোহম মণ্ডল এবং অভীক দে’র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্তৃপক্ষ। প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা শুক্রবার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই তিনজনের  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাহিন সরকার ও সোহম মণ্ডলকে হস্টেলে ছাড়তে বলা হয়েছে। যদিও তাদের কাউকেই গত কয়েকদিন ধরে হস্টেল ও কলেজের কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এদিনও ফোন করে সাহিন সরকার ও সোহম মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সাহিনের ফোন বন্ধ ছিল। সোহম ফোন ধরেননি।  মেসেজ করেও উত্তর মেলেনি। অভীকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে, পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে আন্দোলনে নেমে হুমকির মুখে জুনিয়র ডাক্তাররা। টিএমসিপি’র একাধিক চিকিৎসক নেতার হুমকি দেওয়া, নানা অনৈতিক কাজের অভিযোগে গত বুধবার রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন। প্রিন্সিপাল ও প্রাক্তন ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্তকে ঘেরাও করেন। তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে দিনভর চলে অবস্থান। আন্দোলনের চাপে ডিন ও সহকারি ডিন ওই রাতেই পদত্যাগ করেন। তারপর থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। 

    সংগঠনের অন্যতম সদস্য ডাঃ অভিজিৎ সাহা বলেন, বুধবারের আন্দোলনের পর থেকেই ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অচেনা নম্বর থেকে ফোন করায় চিহ্নিত করা যায়নি কে বা কারা এই হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর অপপ্রচারের আশঙ্কাও করছি। প্রিন্সিপালের মাধ্যমেই বিষয়টি পুলিসকে জানানো হবে। প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, আমার কাছে এখনও লিখিতভাবে এ ধরনের অভিযোগ কেউ জানাননি। যাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদেরও সরাসরি থানায় অভিযোগ করতে হবে। 

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি এদিন তদন্ত শুরু করে। সব অভিযোগপত্রই খতিয়ে দেখেন তাঁরা। আন্দোলনকারী ও অভিযোগকারী মোট ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর নামের তালিকা তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের তদন্ত কমিটির সঙ্গে দেখা করার জন্য ডাকা হয়েছে। 

    তদন্ত কমিটিতে সার্জারি বিভাগের প্রধানকে না রাখায় বৃহস্পতিবার প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে অবিলম্বে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন প্রবীণ অধ্যাপক চিকিৎসক শিবশঙ্কর রায়। প্রিন্সিপাল আশ্বাস দিলেও তদন্ত কমিটিতে নতুন করে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তদন্ত কমিটির বক্তব্য, সার্জারি বিভাগ থেকেও অভিযোগ এসেছে। তাই ওই বিভাগের কাউকেই তদন্ত কমিটিতে রাখা আপাতত সম্ভব নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)