• ক্যাম্পাসে কারা ঘর ভাড়া দিচ্ছে, জানেই না কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতাল চত্বরে সুলভ শৌচালয়ের উপরে দোতলায় দিব্যি ঘরভাড়া দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, রোগীর পরিজনের নাম করে হামেশাই এসে থাকছে বহিরাগতরা। কারা থাকছে, কীসের ভিত্তিতে বাইরের লোকজনকে ঘরভাড়া দেওয়া হচ্ছে, জানেই না মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। 

    ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশে একটি ভবনের দোতলায় যারা মাথাপিছু ১০০ টাকার বিনিময়ে ওই ঘরভাড়া দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী চুক্তি রয়েছে, তার কাগজপত্রও মিলছে না বলে অভিযোগ। ফলে এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারছে না মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। যদিও সুলভ শৌচালয় ও তার উপরতলায় ঘরভাড়ার দায়িত্বে থাকা উমেশ সিং নামে এক ব্যক্তির দাবি, আমাদের সঙ্গে হাসপাতালের চুক্তি আছে। সেইমতোই চালাচ্ছি। রোগী ভর্তির কার্ড দেখালে ঘরভাড়া দিই। কিন্তু, ঘর ভাড়ার টাকা কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পায়? এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওই ব্যক্তি। 

    অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও সুপারের অফিস চত্বরে ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয় চললেও তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী চুক্তি হয়েছিল, কোনটি আইন মেনে চলছে আর কোনটি বেআইনিভাবে চলছে, তা জানার উপায় নেই। কারণ এসবের কোনও নথিপত্র খুঁজে পাচ্ছে না মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুলিস প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। 

    জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, সদর হাসপাতাল চত্বরে শৌচালয়ের উপরে কে বা কারা ঘরভাড়া দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী চুক্তি হয়েছিল, এসব জানা নেই। কারণ কোনও নথিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরভাড়া বাবদ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কোনও টাকা পাচ্ছে না। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির অনেক আগের বিষয় এটি। ফলে তখন কী শর্তে সদর হাসপাতাল চত্বরে ঘরভাড়া, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়, ফটোকপির দোকান বসানো হয়েছিল জানা নেই। অভিযোগ, সদর হাসপাতালে সুলভ শৌচালয়ের উপরে সাতটি সিঙ্গেল রুম রয়েছে। রয়েছে একটি ডর্মেটরিও। রোগীর পরিজনরা যাতে থাকতে পারেন, সেজন্য একসময় তৈরি করা হয়েছিল। এখনও বোর্ডে তেমনই লেখা। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহিরাগতরাও রাতে এখানে দিব্যি থাকছে।
  • Link to this news (বর্তমান)