• সংস্কৃতি চর্চায় উন্নত অডিটোরিয়াম চায় চোপড়া
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চোপড়া: সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহ আছে। অথচ সেটার জন্য চোপড়ায় কোনও উপযুক্ত পরিকাঠামো যুক্ত কোনও মঞ্চ নেই। যা সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই চোপড়াতেও পরিকাঠামো যুক্ত মঞ্চ তৈরির জোরালো দাবি উঠেছে।

    সাতের দশক থেকে চোপড়ার সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও নাট্যচর্চায় বড় ভূমিকা নিয়েছিল তৎকালীন রিক্রিয়েশন মঞ্চ ও বিভিন্ন ক্লাব। খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে আজও। তবে ব্লকে স্থায়ী মঞ্চ না থাকাটা যেন সংস্কৃতি চর্চায় খামতি তৈরি করছে। নয়ের দশকে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে চোপড়ায় পাবলিক হল নির্মাণ হয়। সেখানে মঞ্চ তৈরি হলেও দর্শকদের বসার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই মুক্তমঞ্চের এখন ভগ্ন দশা। এটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয় না বললেই চলে। সেটি এখন ধান কেনাবেচার জায়গা। 

    এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে চোপড়ার কালাগছ আলোড়নী সংঘের মাঠে বছর পাঁচেক আগে একটি  অডিটোরিয়ামের শিলান্যাস হয়। তবে জমি জটে সেটি আটকে যায়। তাই বাঁশ-কাপড় দিয়ে মঞ্চ বেঁধে আয়োজকদের অনুষ্ঠান করতে হয়। অথচ স্থায়ী মঞ্চ থাকলে বহু অনুষ্ঠান স্বল্প খরচে করা সম্ভব। এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা চোপড়া নাট্যকলা কেন্দ্রের সম্পাদক দিব্যেন্দু কুণ্ডু বলেন, সারাবছর আমাদের নানা অনুষ্ঠান হয়। 

    বেশ কয়েকবছর থেকে নাট্য উৎসবও চালু হয়েছে চোপড়ায়। কিন্তু অনেক ক্লাব বা সংস্থার ইচ্ছে থাকলেও অনুষ্ঠান আয়োজনে সমস্যায় পড়ে। বাধ্য হয়ে প্যান্ডেল তৈরি করতে বাজেটের অর্ধেক টাকা খরচ হয়ে যায়। পার্থ ভৌমিক নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সদর চোপড়ায় অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এলাকায় একটি ভালোমানের মুক্তমঞ্চ বা অডিটোরিয়াম হলে সকলেই উপকৃত হবেন। 

    এব্যাপারে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ফজলুল হক বলেন,  পাবলিক  হল সংস্কারের চিন্তাভাবনা রয়েছে। ফান্ড পেলেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। ওই চত্বরে ইতিমধ্যে একটি কমিউনিটি হল করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)