• আদ্রা ডিভিশনে ফের ট্রাফিক ব্লক, ক্ষোভ
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর এই প্রথম ভড়া কলেজে ন্যাকের মূল্যায়ন হচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ধরে ন্যাকের দুই প্রতিনিধি সরেজমিনে কলেজ পরিদর্শন এবং বিভিন্ন বিষয় নিরীক্ষণ করেন। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত কলেজের পরিকাঠামো সহ পঠনপাঠনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাই মূল্যায়নে পাশ করার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ভড়া স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়া বাবা কলেজের অধ্যক্ষ কাকলি ঘোষ সেনগুপ্ত বলেন, আমি ২০১৮ সালে কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর ন্যাকের মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তার জন্য পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পঠনপাঠন সহ যাবতীয় বিষয়ে কলেজের উৎকর্ষ এবং মানোন্নয়ন বাড়ানোর চেষ্টা করি। তারপরেই ন্যাকের মূল্যায়নের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। দুই প্রতিনিধি দু’দিন ধরে পরিদর্শন ও সরেজমিনে নিরীক্ষণ করেছেন। আশা করি মূল্যায়নে সফলতা আসবে। 

    কলেজ পরিদর্শনের দলে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত ইভাম বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলর বিজয় কুমার। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এই কলেজের সার্বিক মান যথেষ্ট ভালো। এখানে মূলত দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। আমরা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। ন্যাকের অপর প্রতিনিধি দিল্লি কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক বিন্ধ ওয়াসিনি পান্ডে বলেন, ভড়া কলেজ আমরা নিরীক্ষণ করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি। পরবর্তীতে মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সফল হলে আগামী দিনে জাতীয়স্তরে এই কলেজের নাম নথিভুক্ত হবে।  কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাক অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল হল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) অধীনস্থ একটি স্বশাসিত সংস্থা। তার সদর দপ্তর রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ন্যাক বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ ও মানোন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করে। ইউজিসির বিভিন্ন ফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যাকের সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলার অন্যান্য একাধিক কলেজ ন্যাকের তালিকাভুক্ত রয়েছে। ভড়া কলেজ সেই তালিকায় ঢুকবে বলে আশাবাদী কলেজ কর্তৃপক্ষ।
  • Link to this news (বর্তমান)