• ‘এখানেই বিচার হবে’, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূনকে ঘিরে ক্যানিংয়ে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিয়ালদহ কোর্ট থেকে বেরনোর সময় চড় খেয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার তারই এক ঘনিষ্ঠ গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। ক্যানিংয়ে সন্দীপবাবুর বাগানবাড়িতে তল্লাশি করতে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় নামে ওই সাগরেদকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। বেরনোর সময় তাঁদের ঘিরে ফেলে স্থানীয় মহিলা ও পুরুষদের একটি দল। প্রসূনবাবুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। ‘এখানেই বিচার হবে’ বলে চিৎকার করতে থাকেন মানুষজন। কোনওমতে জওয়ানরা প্রসূনববাবুকে ভিড় থেকে সরিয়ে গাড়িতে তুলে দেন। এদিন ভোরে প্রসূনবাবুর সুভাষগ্রামের বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ এবং নথি পরীক্ষা। দুপুরে তাঁকে ঘর থেকে বের করে সোজা ক্যানিং ২ ব্লকের নারায়ণপুরে অবস্থিত সন্দীববাবুর বাগানবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। 

    এদিকে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত প্রসূনবাবুর তিনতলা বাড়ি দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। আর জি কর কাণ্ডে প্রসূনের ভূমিকা কী, তা নিয়ে দিনভর চর্চা চলে পাড়ায়। স্থানীয় ও প্রসূনবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্র জানা গিয়েছে, প্রথমে ১২ হাজার টাকার পিয়নের বেতনে চাকরি করতেন তিনি। সেই সূত্রেই সন্দীপবাবুর সঙ্গে আলাপ রয়েছে। ক্রমশ তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। এক দশক আগে সুভাষগ্রামে বাড়ি করেন তিনি। এলাকাবাসীরা জানান, পাড়ার মধ্যে খুব একটা মেলামেশা করতে দেখা যেত না প্রসূনবাবুকে। তিনি স্বাস্থ্যবিভাগে কাজ করেন তা অনেকেই জানতেন, কিন্তু কোন বিভাগ এবং কোথায় তাঁর পোস্টিং অনেকেরই জানা ছিল না। 

    বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাড়ার কিছু মহিলা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রসূনবাবুকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও, তিনি কোনও উত্তর দেননি। তাঁর এক প্রতিবেশী সোমা দাস বলেন, উনি ভালো না খারাপ লোক সেটা জানি না। তবে আর জি করের ঘটনার অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। আমার বাড়িতেও মেয়ে আছে। উনি যদি জড়িত থাকেন, তাহলে কঠোর শাস্তি হোক।
  • Link to this news (বর্তমান)