• চন্দননগরে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে ইডির হানা
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: আর জি কর কাণ্ডে দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার হুগলির চন্দননগরে হানা দিল ইডির একটি দল। এদিন সকাল সকাল প্রথমে ইডির হানাকে কেন্দ্র করে চন্দননগরের পাদ্রীপাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইডির দল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে হানা দিতে এসেছে জেনে বাসিন্দারা কার্যত বিস্মিত হয়েছেন। স্থানীয়দেরও জানা ছিল না যাঁকে কেন্দ্র করে রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে সেই সন্দীপবাবুর শ্বশুর বাড়ি চন্দননগরে। যদিও এদিন সেই বাড়িতে ইডির দল ঢুকতেই পারেনি। কারণ বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। মরচে পড়া সেই তালা দেখে বোঝা যাচ্ছিল বাড়িতে দীর্ঘদিন কারও আসাযাওয়া নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে ইডির তদন্তকারীরাও জানতে পারনে , গত পাঁচবছর ধরে ‘দাস বাড়ি’তে কেউ থাকে না। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের শ্বশুর রামকৃষ্ণ দাস তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে থাকেন। সেখানে তিনি ফ্ল্যাট নিয়েছেন। কাছেই অন্য একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে তাঁর অপর মেয়ে থাকেন। তিনিও পেশায় চিকিৎসক। এদিন চন্দননগর থেকে ইডির তদন্তকারীদের খালি হাতেই ফিরতে হয়।

    এদিনই দুপুরে ইডির অন্য একটি দল বৈদ্যবাটির বাসিন্দা কুণাল রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্সারি রোডের শঙ্করপল্লির বাসিন্দা কুণাল একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। উচ্চমধ্যবিত্ত কুণালবাবুর বাড়িতে পৌঁছনোর দীর্ঘ সময় পর ইডির তদন্তকারীরা বাড়িতে ঢুকতে পারেন। কারণ, ওই বাড়ির সদস্যরা কেউ দরজা খোলেনি বলে অভিযোগ। যদিও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা কুণালবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেই এসেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুণালবাবু সৎ ও সজ্জন বলেই এলাকায় পরিচিত। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযান ঘিরে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রায় তিনঘণ্টা সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। রায় পরিবারের ঘনিষ্ঠ সুবীর দাস বলেন, কেউ তদন্ত করছেন তা ‌঩ইডি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাননি। তবে আমরা সহযোগিতা করেছি। দু’টি অভিযান নিয়েই ইডি কর্তারা কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
  • Link to this news (বর্তমান)