• বউবাজারে মেট্রো টানেলে ফের জল, নতুন করে ধসের আতঙ্ক
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: টানেলে বারবার জল ঢুকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজে ধারাবাহিকভাবে বাধা তৈরি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে এ নিয়ে চারবার কংক্রিটের টানেল ভেদ করে হু হু করে জল ঢোকার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ মেট্রো পথ সংযুক্ত করার কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে। ভারতে মেট্রো রেলের ইতিহাসে এমন বেনজির ঘটনা আগে ঘটেনি বলেই অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু কেন বারবার ঘটছে এই বিপত্তি?

    মেট্রোর এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, রুট বদল করতে গিয়েই একের পর এক বিপর্যয় ঘটছে। মূল রুট অনুযায়ী লাইন পাতা শুরু হলে পাঁচ বছর আগেই গোটা পথে মেট্রো চলাচল চালু হয়ে যেত। ২০১১ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বদলে বউবাজারের নীচ দিয়ে মেট্রো রুট নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কাজ শুরুর আগে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঘন জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সেখানে বালি ও কাদামিশ্রিত ভঙ্গুর প্রকৃতির মাটি। সে বিষয়টি উঠে আসে। ওই কর্তার দাবি, বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের কাছে তোলা হয়। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

    উল্লেখ্য, মাটি কেটে সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য বউবাজারে টানেল বোরিং মেশিন বসানো হয়েছিল। সেই মেশিন তুলতে গিয়েই ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট একাধিক বাড়িতে ফাটল ও ধস নামে। মূলত মাটি বসে গিয়ে পাতালের জল উপরে উঠে এসেছিল। তারপর ২০২২ সালে পাঁচ মাসের ব্যবধানে পরপর দু’বার একইভাবে মাটি ধসে জল ঢুকেছিল। ওই মেট্রো কর্তার বক্তব্য, একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও জল আটকানো ঠেকানো যায়নি। এবারও আমরা সতর্ক ছিলাম। কিন্তু দুর্ঘটনা এমনই হয়। কোনও যুক্তি এবং সতর্কতার বেড়াজাল মানে না। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় জল ঢুকতে শুরু করলেও ইঞ্জিনিয়াররা খানিক পরই তা বন্ধ করার কাজ শুরু করেন। ভোর পাঁচটা নাগাদ জল পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়। তবে এই ঘটনার জেরে প্রকল্পের কাজে বিরাট প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। তবে তাঁরা মনে করছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া না গেলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)