• ‘৩ দিন আগেই বাড়ি ফেরাল মেট্রো, ফের বের করে দিল’, লাগাতার ভোগান্তি, এলাকায় তীব্র ক্ষোভ
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্র্রোর ধর্মতলাগামী টানেলের ক্রস প্যাসেজের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল পয়লা সেপ্টেম্বর। তবে পাঁচ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোটেলে থাকতে বলে নোটিস দেওয়া ছিল আবাসিকদের। তবে দু’তারিখ বাড়ি ফেরত চলে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দিয়ে দেয় মেট্রো। কিন্তু তাতে লাভটা কী হল? সেই আবার ঘরছাড়া হতে হচ্ছে আমাদের। মাত্র ১০ মিনিটের নোটিসে আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছে পুলিস।’

    শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বের করতে এসে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুশীল যাদব নামে বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের এক বাসিন্দা। তাঁর বক্তব্য,‘বসবাস করার জন্য বাড়ি ‘ফিট’ কিনা তা যাচাই না করেই কেন তিন দিন আগে ছাড়পত্র দেওয়া হল? কেন আবার ঘরছাড়া হতে হচ্ছে?’ তাঁর প্রশ্ন, ‘কাজ সম্পূর্ণ করার পর কেন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না?’ ওই বাসিন্দার দাবি, ‘২০১৯ সাল থেকে এ নিয়ে কতবার যে হোটেল আর বাড়ি গিয়েছেন, তার কোনও ইয়াত্তা নেই।’২৬ আগস্টে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কেএমআরসিএল। গত সোমবার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসিন্দাদের ফেরত নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, কিন্তু মেট্রোর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁদের আবার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বারবার ঘরে ফেরা, আবারও ঘর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

    স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিছুদিন পরপর হোটেলে গিয়ে থাকা খুবই কষ্টকর। রাতে মাত্র ১০ মিনিটের নোটিসে বাড়ি থেকে বের হতে হলে অত্যন্ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের’। এলাকার কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘২০১৯ থেকে এই এলাকার এটাই ছবি। যখনই মেট্রোর কাজে বিপর্যয় ঘটছে সকলে বলছে আর হবে না। ছ’বছর হয়ে গেল, মেট্রোর কারও কোনও দায় নেই। ওরা বলল, কাজ হয়ে গিয়েছে ফিরে এস। রোগীকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে দিল, বাড়ি ফিরেই পেশেন্ট মরে গেল। সেক্ষেত্রে যা বোঝায়, এখানেও তাই চলছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)