• আমডাঙায় ব্যবসায়ীকে খুন, আট বছর পর দোষীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ব্যবসায়ীকে বাইকের মাঝখানে বসিয়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছিল আততায়ীরা। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনার আট বছর পর ধৃত দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। আসামির নাম বিকাশ মাঝি। অপর অভিযুক্ত চন্দনকুমার পাসোয়ান সেই সময় নাবালক ছিল। তার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিস জানিয়েছে, ২০১৬ সালে আমডাঙার কইপুকুরের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ী সুভাষ বসুর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি ছিল টিটাগড় এলাকায়। তদন্তে পুলিস জানতে পারে সুভাষের ব্যবসায়িক সংস্থাতেই কাজ করত চন্দন। ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে মালিকের সঙ্গে চন্দনের একবার গণ্ডগোল হয়। তারপর সুভাষ চড় মেরেছিল চন্দনকে। সেই আক্রোশের বদলা নিতে সুভাষকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। এই কাজে সে সঙ্গী করে খড়দহের বিকাশ মাঝিকে। ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট পরিকল্পনা করেই মালিককে বাইকে চাপিয়ে বেরিয়েছিল চন্দন। বাইক চালাচ্ছিল বিকাশ। সুভাষবাবু ছিলেন মাঝখানে। কাঁকিনাড়া রোড ধরে ওই দিন রাত সাড়ে ৭টায় তারা আসে আমডাঙার কইপুকুরের কাছারিয়া এলাকায়। সেখানেই চন্দন গুলি করে সুভাষকে। গুলি লাগে মাথায়। এরপর রাস্তার ধারে ব্যবসায়ীকে ফেলে চম্পট দেয় দু’জন। পরবর্তীকালে আমডাঙা থানার পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। বিকাশের মামলা চলে বারাসত আদালতে। নাবালক চন্দনের বিচার শুরু হয়েছিল বিধাননগর জুভেনাইল আদালতে। আট বছর ধরে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মাঝিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বারাসত আদালত। এ নিয়ে হাবড়ার এসডিপিও প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার সময় দ্বিতীয় অভিযুক্ত চন্দন ছিল নাবালক। তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে।
  • Link to this news (বর্তমান)