হতভম্ব ব্যবসায়ী, থানাতেই বসে কোটি টাকা ছিনতাইকারী! গ্রেপ্তার ASI
এই সময় | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়, দুর্গাপুর: গাড়ি থেকে সবে ছিনতাই হয়েছে এক কোটি এক লক্ষ টাকা। থানায় গিয়ে হতবাক ব্যবসায়ী। ছিনতাইবাজ তো থানাতেই বসে! তবে পুলিশের পোশাকে নয়। সাদা পোশাকে। তবে তিনি যে থানারই অফিসার তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ব্যবসায়ীর। চিৎকার করে নয়, গলা নিচু করে পুলিশ অফিসারদের বিষয়টি জানান দিল্লির বাসিন্দা, ব্যবসায়ী পঙ্কজ চাওলা। হতবাক হয়ে যান পুলিশ অফিসারেরাও। বিষয়টি থানার বড়বাবু ও উচ্চপদস্থ অফিসারদের জানানো হয়।বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পঙ্কজের গাড়ি আটকে তল্লাশির নামে টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই অফিসার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। সে দিন সন্ধে থেকেই থানায় পুলিশ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে অভিযুক্ত এএসআই অসীম চক্রবর্তী। সেই একটানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শুক্রবার সকালের পরে অসীম নার্ভ ঠিক রাখতে পারেনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পর পর প্রশ্নের মুখে স্বীকার করে নেয় 'কুকীর্তি'-র কথা। পুলিশ নিশ্চিত হয় যে পঙ্কজের অভিযোগ সত্যি। গ্রেপ্তার করা হয় অসীমকে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, অসীম ছাড়াও সিআইডির এক কর্মী-সহ মোট ছ'জনকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, অতীতে কোক-ওভেন থানায় থাকাকালীন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেও একবার ক্লোজ় করা হয়েছিল অসীমকে।
শুক্রবার অসীমকে গ্রেপ্তারের পরে আরও তিন জনকে নিয়ে আসা হয় থানায়। দফায় দফায় অসীম ও ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি-র এক কর্মী-সহ আরও তিন জনকে ধরে আনা হয়। পুলিশের অনুমান, পঙ্কজ যে টাকা নিয়ে যাচ্ছে সে খবর অসীম আগেভাগে পেয়ে ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, পঙ্কজ দু'দিন আগে আরটিজিএস করে আসানসোলে তাঁর অংশীদারকে পাঠানো ওই টাকা নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। ছিনতাইয়ের পরে পরিচিত বিশ্বনাথ রায় তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর থানায়। পঙ্কজ বলেন, 'ঘটনার পরে আমি বুঝতে পারি নির্ঘাত পরিচিত কেউ খবর দিয়েছে। না হলে এতগুলো টাকা নিয়ে যে যাচ্ছি, তা বাইরের লোকেরা জানবে কী ভাবে?' তাঁর অংশীদারকে খুঁজছে পুলিশ।