মৃত ছাত্রী অনামিকা সিং-এর ফোন থেকে পুলিসের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে, যার মধ্যে একাধিক চ্যাট পাওয়া গেছে। সেখানে একটি কোম্পানির এজেন্টকে ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতে দেখা গেছে। বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রাণা মুখোপাধ্যায় বলেন, "মেয়েটির বাবা-মা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা ছাত্রীর মোবাইল ফোনের ডেটা বিশ্লেষণ করছেন। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ মানুষের মনে, বিশেষত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর। এই পরিস্থিতিতে অনামিকা সিং-এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে কোনও গাফিলতি রাখতে রাজি নয় পুলিস। যে কারণে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিবর্তে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর রাতে অনামিকা সিং-এর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্বভারতীর হস্টেলেই বিষ পান করেন তিনি।
ঘটনার পরপরই শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিস আম্রপালি ছাত্রী নিবাসে পৌঁছালে ছাত্রীরা তাদের বাধা দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের অভিযোগ ছিল, বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিক ছাড়া পুলিস কেন ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার এবং বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ছাত্রীর আত্মহত্যার পিছনে ঋণের চাপের বিষয়টিও।