নতুন প্রিন্সিপালের নজরে আসতেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদন্ত চলায় সংস্কারের জন্য পুলিসের কাছে অনুমতি চান সুহৃতা পাল। ১৩ অগাস্ট ডিসি নর্থকে চিঠি দেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সুহৃতা পাল। যে চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন ডিসি নর্থ। চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়, ক্রাইম সিনের পাশে যেন কোনওরকম নির্মাণকাজ না হয়। প্রসঙ্গত, গতকালই সামনে আসে যে সন্দীপের নির্দেশেই দেহ উদ্ধারের পরই ক্রাইম সিনের পাশে 'সংস্কার' কাজ শুরু হয়! ৯ অগাস্ট ঘটনার পরদিন-ই, ১০ অগাস্ট সই করা চিঠিতে পূর্ত দফতরকে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলেন সন্দীপ ঘোষ।
সন্দীপ ঘোষের সই সম্বলিত সেই চিঠি সামনে আসতেই দেখা যায়, ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুম থেকে ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের পর দিন ১০ অগাস্ট-ই অর্থাত্ ধর্ষণ ও খুনের দ্বিতীয় দিনেই ঘটনার জায়গায় মানে 'ক্রাইম সিনে' নির্মাণকাজ শুরু করতে বলে পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছেন খোদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্যভবনের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অগাস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টরের সঙ্গে আরজি করের বোর্ড রুম মিটিংয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থাত্ সন্দীপের নির্দেশেই ক্রাইম সিনের পাশে শুরু হয় 'সংস্কার'! উল্লেখ্য, ঘটনার পরদিনই 'ক্রাইম সিন' সেমিনার রুম সংলগ্ন ঘরের দেওয়াল ভাঙা শুরু হতেই হই চই পড়ে যায়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এই চিঠি সামনে আসার পর সেই অভিযোগেই সিলমোহর পড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল।