মাটিগাড়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা
এই সময় | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মহম্মদ আব্বাসের ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি আদালত। রায় শুনে চোখে জল নাবালিকার পরিবারের। যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে বুধবারই মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। শনিবার ছিল রায় ঘোষণা। দোষীর মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বিচারক অনিতা মেহরোত্রা মাথুর ফাঁসির নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ২১ অগস্ট মাটিগাড়ায় জঙ্গলের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘরে উদ্ধার এক স্কুল ছাত্রীর দেহ। তাঁকে বাড়ি থেকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মহম্মদ আব্বাসের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ছাত্রীটিকে। যাতে তাঁর দেহ কেই শনাক্ত করতে না পারে সেই কারণে মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। জানুয়ারি মাস থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সাক্ষী দেন ২২ জন।
বুধবার মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শনিবার তাঁর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়। এ দিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে নাবালিকার পরিবার ছিলেন। সাজা ঘোষণার আগে আদালতের আশেপাশে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। মোতায়েন করা হয় উইনার্স বাহিনীও। দুপুরে আব্বাসকে সংশোধনাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এই ঘটনা বিরলতম। প্রথম থেকেই ফাঁসির সাজার দাবি করছিলাম।' এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
কান্না জড়ানো গলায় নাবালিকার মা বলেন, 'বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা ছিল। ১৩ মাস ধরে আমি অপেক্ষায় ছিলাম সুবিচারের। মেয়েকে হারানোর পর চুল পর্যন্ত কাটিনি। দোষীর শাস্তি চেয়েছি। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে আদালতে এসেছি। এই রায়ের পরও মেয়েটা আমার ফিরবে না। মনটা ওঁর জন্য কেঁদে উঠছে।’ এ দিন আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবি শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। তিনি জানান, প্রয়োজনে আরজি কর কাণ্ডে দোষীর কঠোর শাস্তি চেয়ে জন্য আন্দোলন করবেন তিনি।