জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ডোমকলের মুরারিপুকুর এলাকায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূলকর্মী কালু হালদার। তখন টিপু মণ্ডল ও সালাম মণ্ডল নামে ২ যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে পালায় বলে অভিযোগ। মোট ৩ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন কালু। এর পর তাঁকে উদ্ধার করে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালু হালদারের দাবি, হামলাকারীরা কংগ্রেস সমর্থক। তবে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও বিবাদ ছিল না তাঁর। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কালুকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন।
ঘটনায় ১ কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয় সে। ওই জায়গায় নিয়মিত জুয়া খেলা হয়। জুয়ার ঠেকে বচসার জেরেই গুলি চলেছে। আর তৃণমূলের নির্দেশে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জুয়ার টাকার বখরা নিয়ে গুলি চলেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। কয়েকটা মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
বৃহস্পতিবার ডোমকলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মোসলেমা খাতুন নামে এক নাবালিকার। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের চলল গুলি।