শ্রীরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। গত বছর শান্তনু সেনকে সরিয়ে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদে বসায় রাজ্য সরকার। শুভেন্দুবাবুর দাবি, তার পর থেকে আরজি কর মেডিক্যালের জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকায় কেনা ভালো যন্ত্রগুলি নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে বসিয়েছেন সুদীপ্তবাবু।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মোস্ট কোরাপটেড লোক। আরজি করের নতুন মেশিনগুলো সব শ্রীরামপুরে নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে। আর শ্রীরামপুরে নিজের নার্সিংহোমের ভাঙা মেশিনগুলো আরজি করে দিয়েছে। এই লোকটাকে শ্রদ্ধা করতাম। এত নোংরা কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাবার বাইরে। আরজি করে সরকারের সব ভালো মেশিনগুলো ও নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে। আমি তো এত বড় কথা বললাম। ঢুকে দেখে আসেন।’
ওদিকে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই সুদীপ্তবাবুর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আর আরজি করে দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, নিজের নার্সিংহোম রয়েছে এরকম একজন ব্যক্তিকে সরকারি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি করা হল কেন? এতে কি স্বার্থের দ্বন্দ তৈরি হয় না?