• আগামী বছর থেকে আইসিএসই-র অঙ্ক পরীক্ষায় সময় বাড়ছে আধ ঘণ্টা
    আনন্দবাজার | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আগামী বছর থেকে সিআইএসসিই বোর্ডের দশম শ্রেণি, অর্থাৎ আইসিএসই-তে অঙ্ক পরীক্ষার সময় আধ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। সিআইএসসিই বোর্ডের তরফে শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। এত দিন আইসিএসই-তে অঙ্ক পরীক্ষার সময়সীমা ছিল আড়াই ঘণ্টা। ২০২৫ সাল থেকে সেই সময়সীমা বেড়ে হবে তিন ঘণ্টা। তবে বোর্ড
    জানিয়েছে, সময়সীমা বাড়লেও প্রশ্নের সংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে না। সেই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রশ্নের ধরনের একটি নমুনাও দেওয়া হয়েছে।

    এত দিন আইসিএসই-তে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার সময়সীমা ছিল তিন ঘণ্টা। অঙ্কের সময়সীমা ছিল আড়াই ঘণ্টা। বাকি সব বিষয়ের পরীক্ষা ছিল দু’ঘণ্টার। এ বার অঙ্ক পরীক্ষার সময়সীমা তিন ঘণ্টা হওয়ায় অঙ্ক এবং দ্বিতীয় ভাষা বাদে বাকি সব বিষয়ের পরীক্ষা হবে দু’ঘণ্টার।

    অঙ্ক পরীক্ষার সময়সীমা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকাংশ স্কুলের অধ্যক্ষেরা। ন্যাশনাল ইংলিশস্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহার মতে, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতিতে সমস্ত বিষয়েরই প্রশ্নের ধরন পাল্টাচ্ছে। অঙ্কও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত, অঙ্ক নিয়ে একটা ভয় থাকে অনেকেরই। এই পরীক্ষায় হিসাব করতে হয় অন্য পরীক্ষার চেয়ে অনেক বেশি। অঙ্ক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়লে পরীক্ষার্থীরা অনেক খোলা মনে পরীক্ষা দিতে পারবে।’’

    রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাসও মনে করছেন, অঙ্ক পরীক্ষার সময়সীমা তিন ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত ঠিক। তিনি বলেন, ‘‘সিআইএসসিই বোর্ড সব সময়েই পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভাবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতেও বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের উপরে চাপ কমাতে হবে। পরীক্ষা নিয়ে যেন ছাত্রছাত্রীদের মনে কোনও ভীতির সঞ্চার না হয়। অথচ, অঙ্ক পরীক্ষা নিয়ে অনেকেরই ভয় থাকে। পরীক্ষায় সময় বেশি পেলে সেই চাপ কমবে।’’ সুজয়ের মতে, অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে উত্তর লিখতে গিয়ে কোথাও ভুল হলে যেখানে হয়তো একটি মাত্র অনুচ্ছেদ কাটলেই হয়ে যায়, সেখানে কোনও একটি অঙ্ক পুরোটা করার পরে কোথাও ভুল হলে আবার প্রথম থেকে সেটা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। অঙ্ক পরীক্ষায়
    সময় বেশি পেলে আরও ভাল ভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। উত্তর করার পরে আবার প্রথম থেকে মিলিয়ে নেওয়ার সুযোগও পাবে তারা।

    ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্রের মতে, ‘‘অঙ্ক পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা হিসাব করতে গিয়ে এমন ছোটখাটো ভুল করে, যার জন্য সেই অঙ্কে তারা পুরো নম্বর পায় না। কখনও কখনও শূন্যও পায়। আধ ঘণ্টা সময় বেশি
    পেলে সেই ভুলের আশঙ্কা কমবে। যে সব পড়ুয়া অঙ্কে মধ্যমানের, তাদেরও এই বিষয়ে ভাল নম্বর পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস আসবে। ফলে, সার্বিক ফলাফল ভাল হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)