• বহরমপুরে নিখোঁজ নার্স, অপহরণের অভিযোগ পরিবারের, তবে তদন্তের পর পুলিশের দাবি অন্য!
    আনন্দবাজার | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • কাজ সেরে নার্সিংহোম থেকে বেরিয়েছিলেন হস্টেল ফিরবেন বলে। কিন্তু তার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি বহরমপুরের একটি নার্সিংহোমের এক নার্সের। তিন দিন কেটে দিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ভাগীরথী নদীর উপরের সেতু থেকে এক জোড়া জুতো পাওয়া গিয়েছে। তাদের প্রাথমিক অনুমান, ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বহরমপুরে।

    পুলিশ সূত্রের খবর, নিখোঁজ নার্সের বাড়ি বহরমপুরের কোদালা গ্রামে। তবে কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন বহরমপুর শহরের এক হস্টেলে। শহরের এক নার্সিংহোমে কাজ করতেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নার্সিংহোমে তাঁর ডিউটি ছিল। তার পর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রাত বাড়লেও তিনি হস্টেলে ফেরেননি। ওই তরুণীর মা বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে শেষ বার বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ফোনে কথা হয়েছিল। মেয়ে কোথায় গিয়েছে জানি না। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষও আমাদের কিছু জানাননি। শুক্রবার রাতে ফোন করে ওঁরা জানান, আমাদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁর প্রশ্ন, বুধবার রাতে হস্টেলে ফেরেনি মেয়ে। তবুও তাঁর খোঁজ নিলেন না কর্তৃপক্ষ?

    ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতেই বহরমপুরে ভাগীরথীর সেতুর উপর থেকে এক জন ঝাঁপ দিয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের খবর দেন। ওই সেতু থেকে এক জোড়া জুতো পাওয়া গিয়েছে। সেই জুতো ওই নার্সের পরিবারকে দেখানো হয়। সেই জুতো জোড়া নিখোঁজ তরুণীরই বলে জানিয়েছেন তাঁর মা।

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভাগরথীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, ভাগীরথী নদীতে তল্লাশি চলছে। তবে এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। যদিও আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। তাঁর মা জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে তাঁর মেয়ের কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য হয়নি। মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বহরমপুর থানায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭ (১) ও ১৪০(৩) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জনবহুল এলাকা থেকে রাত সাড়ে ৮টা-৯টা নাগাদ এক জন নার্সের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই নার্সের আত্মহত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাগীরথী থেকে দেহ উদ্ধার চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)