আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনুদান ফেরাল আরও এক দুর্গাপুজো কমিটি
এই সময় | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
'অনুদান নয়, বিচার চাই', এই দাবি করে এ বার দুর্গাপুজোর জন্য বরাদ্দ সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করল হুগলির বৈদ্যবাটির একটি পুজো কমিটি। এর আগে একই পথে হেঁটেছিল হুগলির একাধিক পুজো উদ্যোক্তা। সেই তালিকায় নাম জুড়ল শ্রীরামপুরের নগারমোড় সংলগ্ন বৈদ্যবাটি এক নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মিলন চক্র পুজো কমিটির। শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক ও থানায় তাদের কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর কোনও অনুদান তাঁরা নেবেন না।এর আগে পুজোর জন্য দেওয়া সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করেছিল কোন্নগর মাস্টার পাড়া, হিন্দমোটরের ভদ্রকালীর মহিলা পরিচালিত বৌঠান সংঘ, উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ। উল্লেখ্য, রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে সরকারের তরফে এই বছর ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
গত ৯ অগস্ট শহর কলকাতার সরকারি হাসপাতাল আরজি কর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে রাজ্যজুড়ে। উঠেছে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও। ঘটনায় প্রতিবাদের বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে পুজো কমিটিগুলি।
মহিলা মিলন চক্র পুজো কমিটির সভাপতি তপতী মুখোপাধ্যায় বলেন,'আমরা মনে করি নারী নিরাপত্তা সবার আগে। হাসপাতাল অন্যতম সুরক্ষিত জায়গা হওয়া উচিত। সেখানে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে প্রতিবাদ না করে আর উপায় নেই। সরকারের কাছে আবেদন দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আগে দেখি দোষীর শাস্তির জন্য প্রশাসন কী পদক্ষেপ করে, তারপর আগামী বছর অনুদান নেব কি নেব না, সেই বিষয়ে চিন্তা করব।' পুজো কমিটির সদস্য মহালক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করব। আমরা বিচার চাই।'
একের পর এক পুজো কমিটি যখন অনুদান ফেরাচ্ছে সেই সময় এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছিলেন, ‘রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগী। দুর্গাপুজোর সঙ্গে বহু মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে রয়েছে।’