উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধেয় হরিপালে এক বছর পনেরোর নাবালিকাকে অবিন্যস্ত পোশাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে হারিপাল থানা থেকে পুলিস গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করে পুলিস।
কী হয়েছিল? নাবালিকা পুলিসকে জানায়, সিঙ্গুর স্কুল থেকে বেরিয়ে সে এক শিক্ষকের বাড়িতে টিউশন পড়তে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে একটি সাদা গাড়িতে অপহরণ করে চারজন। হরিপালে সে কীভাবে গেল তা তার মনে নেই। সিঙ্গুরে তার ব্যাগটি পড়েছিল। সেটি সিঙ্গুর থানায় জমা দেন দুজন।
ঘটনার পরপরই তদন্ত নামে পুলিস। সিঙ্গুরে যে জায়গায় ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস। স্থানীয় লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। সিঙ্গুর স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যায় স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নাবালিকা। যে সাদা গাড়িতে অপহরণের কথা বলা হচ্ছে তার কোনও অস্তিত্ব পায়নি পুলিস।
হুগলি গ্রামীন পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, চারজন তাকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছিল নাবালিকা। একজন তার চেনা বলে জানিয়েছিল। যে যুবকের কথা সে জানিয়েছিল তার ছবি দেখিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়। পরে ওই যুবকের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায় সে ঘটনার সময় ভিন রাজ্যে ছিল। এমনকি সে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের বাইরেই রয়েছে। নাবালিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিসের মনে হয়েছিল নাবালিকা যে অভিযোগ করছে সেটা ভালো করে খতিয়ে দেখা দরকার। অভিযোগ খুবই স্পর্শকাতর ছিল তাই সেই ভাবেই তদন্ত চলতে থাকে।
এদিকে, চন্দননগর আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। চন্দননগর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়। গোপন জবানবন্দির মধ্যে অসংগতি আছে বলে জানান পুলিস সুপার। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর পুলিসের কাছে যা তথ্য প্রমান এসেছে সে সব জানানো হল। পরে আরো কিছু পাওয়া গেলে তা জানানো হবে বলে জানান পুলিস সুপার।