জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি রায়পাড়া এলাকার ঘটনা। রনিক ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনের ছাত্র। প্রতিদিনের মতই গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে স্কুলের উদ্দ্যেশ্যে বের হয় রনিক। বেলা পেরিয়ে গেলেও রনিক সেদিন স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। সুনীতি দেবী স্কুলের মাস্টারকে ফোন করলে স্কুল থেকে জানানো হয় রনিক ওইদিন স্কুলেই আসেনি। বাড়ির সবার মাথায় হাত পরে যায়। আত্মীয়-সজন, পাড়া-প্রতিবেশি সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। ছেলে ভাল ফুটবল খেলে, তাই খোঁজ নেওয়া হয় তার খেলার বন্ধুদের কাছেও। কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি রনিকের। বন্ধুরা জানায়, কোথাও খেলতেও যায়নি রনিক।
ওদলাবাড়ি এনজিও এর মাধ্যমে মাল থানায় লিখিত আকারের অভিযোগ জানিয়েছেন রনিকের মা। বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে সমাজ মাধ্যমে নিখোঁজ সংক্রান্ত পোস্টও করানো হয়। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অবধি সেই নিখোঁজ ছেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস বাড়িতে এসে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁরা রনিকের খোঁজ চালাচ্ছেন। বাড়িতে একাই থাকেন সুনীতি দেবী। স্বামী অনেক আগে মারা গিয়েছেন। বড় ছেলে অন্যত্র থাকেন। পুত্র শোকে অসুস্থ হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন সুনীতি দেবী। সদ্য সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু কমেনি তাঁর বুকের যন্ত্রণা। নিখোঁজ ছেলের খোঁজ কবে পাবেন তিনি? কবে আবার শুনতে পারবেন মা ডাক?